নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২২, ২০২১
০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২১
০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
সিলেট শহরতলীর খাদিম এলাকায় নাঈম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন সবুজকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক সাইফুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় এখনও সবুজ ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে দেলোয়ার হোসেন সবুজকে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘মামলায় গ্রেপ্তার সবুজকে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এ সময় আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় বিএডিসি কৃষি গবেষণা খামারের ভেতরে সুইস সংলগ্ন হাটার রাস্তার পাশ থেকে নিহত নাঈম আহমদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নাঈম শাহপরাণ থানাধীন পাঁচঘড়ি এলাকার নিজামুদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় থাই মিস্ত্রি। তার শরীরে ৮টি ছোট-বড় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে দুই বন্ধু নাঈমকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা-দুইটার দিকে নিহত নাঈমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি জন্মদিনের দাওয়াত খাওয়ার জন্য ফোন করে। একাধিকবার ফোন পাওয়ার পর নিহত নাঈম দ্রুত ঘর থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরেনি সে।
এদিকে, বিএডিসি কৃষি খামারে যাওয়ার পথে সেখানে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী চারজনকে খামারের ভেতরে যেতে দেখেছেন। তিনি তাদেরকে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করলেও, তারা নিষেধ উপেক্ষা করে খামারের ভিতরে নির্জন এলাকায় যান। নাঈমের মামা মো. আলাউদ্দিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাব্বি ও সবুজ মাদক সেবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তারা নাঈমকে ঘর থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের মা মোছা. জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারনামীয় আসামিরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পুরানবাড়ী এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সৈয়দ জিশান আহমেদ রাব্বি; যিনি বর্তমানে শাহপরাণ থানাধীন বিআইডিসি সংলগ্ন বহর এলাকার বাসিন্দা। শাহপরাণ থানাধীন খাদিমপাড়া এলাকার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে জুনেদ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার বড়নগর গুল্লি চা বাগান এলাকার দিলাল মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন সবুজ। তিনি বর্তমানে শাহপরান এলাকার চামেলীবাগে বসবাস করেন।
গত বুধবার পুলিশ শাহপরাণ এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেন সবুজকে গ্রেপ্তার করে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় সবুজ ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
এনএইচ/আরসি-০১