সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম পরীক্ষা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ১৬, ২০২১
০৬:২৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২১
০৬:২৯ পূর্বাহ্ন



সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম পরীক্ষা আজ

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আজ শনিবার থেকে একযোগে তিনটি নার্সিং কলেজে শুরু হচ্ছে ১ম বর্ষ বিএসসি ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানা যায়, ১ম বর্ষ বিএসসি ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং পরীক্ষা গত বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায়। সিলেটের নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজ, বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজ ও আল আমিন নার্সিং কলেজের প্রথম বর্ষের মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী স্ব স্ব কেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদে ডিন নিয়োগের পাশাপাশি পরীক্ষা কমিটি গঠনের মাধ্যমে পরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পরীক্ষা গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সিলেটবাসীর দাবি ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে আজ শুরু হচ্ছে প্রথম পরীক্ষা গ্রহণ। আশাকরি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব।’

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের সকল মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও নার্সিং কলেজসমূহের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দুইটি সরকারি মেডিকেল কলেজ, চারটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ১টি সরকারি নার্সিং কলেজ, ৪টি বেসরকারি নার্সিং কলেজ এবং ১টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১২টি স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমিক অধিভুক্তি প্রদান করেছে। এসব কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গঠনপূর্বক দুইটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিধিবদ্ধ কমিটিসমূহ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি, মাস্টার প্ল্যান, ফিজিবিলিটি স্টাডি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই ডিপিপি একনেক-এ অনুমোদন হবে এবং বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে।

আরসি-০১