ওসমানীনগর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ০৫, ২০২১
০১:৫২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৫, ২০২১
০১:৫২ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সদস্য উত্তর শরিষপুর গ্রামের সরুজ আলীর ভাতিজা শামীমের সঙ্গে নতুন বাজারস্থ মুমিনা ইলেকট্রিকের মালিক লায়েছ মিয়ার একটি তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শামীমের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে লায়েছ মিয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে ৬ জন আহত হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতরা হলেন, দয়ামীর ইউনিয়নের পশ্চিম খাইয়াকাইড় গ্রামের শফিক আলী (৬৫), তার পুত্র কায়েছ আহমদ (২৬), লায়েছ আহমদ (২৪), মাছুম আহমদ (২০), মামুন আহমদ (১৬) ও একই এলাকার ইছমত আলীর পুত্র লিটন মিয়া (৩৭)। তাদের মধ্যে মামুন ও কায়েছ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
লায়েছ মিয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য সুরুজ আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন সংঘবদ্ধভাবে আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বৃদ্ধ পিতাসহ ভাইদের আহত করেছে। এছাড়া দোকানের মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আহত আমার ভাই কায়েছ আহমদ এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সুরুজ আলী বলেন, কথা কাটাকাটির জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আমি সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে আমি কোনো পক্ষ নই।
ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইউডি/আরআর-০৮