নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ০৬, ২০২০
১১:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৭, ২০২০
১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
ছবি-এইচএম শহীদুল ইসলাম
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটসহ সারাদেশ উত্তাল হলেও থেমে নেই ধর্ষণকান্ড। এক ঘটনার আলোচনার রেশ কাটার আগেই বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ করে সারাদেশে ধর্ষণ-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রতিবাদে মুখর হচ্ছে রাজপথ। এসব প্রতিবাদ থেকে দাবি উঠছে ধর্ষণ আইন সংস্কার করে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার। সেই আন্দোলন, বিক্ষোভে যুক্ত হলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ত্রিরত্ন’। প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে ভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে তারা ধর্ষকদের প্রতীকী ‘ফাঁসি’ কার্যকর করেছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশে চলমান অবস্থা ও আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থা’ নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এই ফাঁসি কার্যকর করে ‘ত্রিরত্ন অর্গানাইজেশন’।
প্রতিবাদে ধর্ষকরা ক্ষমতা ও দাপটের প্রদর্শন করে অবলীলায় ধর্ষণকান্ডসহ নারী নির্যাতন করে যাচ্ছে সেই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রতীকী প্রতিবাদে দেশের বর্তমান অবস্থাকে ফুটিয়ে তুলেন ত্রিরত্নের সদস্যরা। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে আসামিদের পার পেয়ে যাওয়াও বিষয়টি উঠে আসে তাতে। নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে তার ভিত্তিতে ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হয়। এসময় প্রতীকী ধর্ষকের গলায় দড়ি বেঁধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টের চত্ত্বর ঘুরিয়ে আবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। তাদের দাবি ধর্ষককে দ্রুত বিচার দিলে তবেই মুক্তি পাবে দেশ।
ত্রিরত্নের যুগ্ম প্রধান যুবায়ের সাইফুল্লাহ বলেন, ‘শুধু ধর্ষণ নয়, যেকোনো অপরাধের বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু ধর্ষণের মতো একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের বেলায় আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার চাইতে হয়। আমরা মনে করি, ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদন্ড। তাই প্রচলিত ধারায় আমরা মানববন্ধন না করে দেশের বর্তমান অবস্থা এবং আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সংগঠনের অন্যতম এ উদ্যোক্তা বলেন, ‘দৃশ্যে জনগণ এবং ধর্ষণের শিকার নারী এক পক্ষ হয়ে ধর্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়ন করা। ধর্ষকের ফাঁসি হলে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলে আমরা মনে করি। তাই আমাদের প্রত্যাশা জনস্মুখে ধর্ষকের ‘মৃত্যুদন্ড’ কার্যকর করা। আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থা অনুযায়ী রাষ্ট্র এবং ধর্ষিতা একপক্ষ হয়ে ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করছে এমনটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রতিকী প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন ত্রিরত্নের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান ফাহাদ আহমেদ, কন্ট্রোলার রুপসা তুফা, মিফতা রাহমান সাকিব, আব্দুল্লাহ সাইফুল্লাহ, হিরনময় চৌধুরী, ইমন আহমেদ, সুমাইয়া সাদমিন, নাবিলা আক্তার প্রমুখ।
আরসি-০১/এএফ-০৬