সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ২৩, ২০২০
১১:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২০
১১:০৫ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাপাখানা থেকেই মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, ছাপাখানার মেশিনম্যান সালাম এবং তাঁর খালাতো ভাই জসীম, দুজন মিলে গড়ে তুলেছিলেন এ চক্র। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে পুরো চক্রটিকে চিহ্নিত করেছে সিআইডির তদন্তকারী দল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার ক্রাইমের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস। এ সময় সাইবার ক্রাইমের ডিআইজি মো. শাহ আলমসহ সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিআইডি জানায়, সন্দেহভাজন হিসেবে গত ১৯ জুলাই এস এম সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আরো ৫ জনকে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের মধ্যে ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া মুন্নু, পারভেজ খান, জাকির হোসেন দিপু এবং সামিউল জাফর সিটু। গত ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মূলহোতা জসিম। তার কাছ থেকে দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয় পত্র, দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে সিআইডি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকে প্রশ্ন বের হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন কুমার দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ১৯৮৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রেস থেকে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। ওই প্রেসে চাকরি করে এমন সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো এসব কাজে যুক্ত থাকতে পারে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। যার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ছিল ৪৭ জন। এদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় তদন্ত করার সময় ২০১৮ সালে একটি চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হিসেবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপাখানা থেকে মেডিক্যাল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে ফাঁস করত। তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় এজাহার নামীয় ১৪ জনসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি।
আরসি-০১