আলমগীর হোসেন
জুন ১১, ২০২০
০১:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১১, ২০২০
০১:৪০ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী। ফলে গোটা পৃথিবীতেই চরম একটি অনিশ্চয়তা চলছে। কে কখন আক্রান্ত হন, কেউ বলতে পারে না। এখন যত বড় ধনী আর প্রভাবশালী হন না কেন, পরিস্থিতি থেকে কেউ রেহাই পাওয়ার উপায় নেই।
উপরের কথাগুলো সত্য হলেও ভীষণ হতাশার। এর বাইরে যে কথা তা হলো, মানুষকে হতাশ হলে চলবে না। এমন উপদেশ বাণী অবশ্য আমরা গণ-মাধ্যমে প্রতিদিন শতবার শুনছি। কিন্তু ভরসা কি পাচ্ছি? মূলত আমাদেরকে ভরসা দেবে কে?
ঘুরেফিরে দায় সরকারের উপরই বর্তায়। কারণ মানুষ যতই সচেতন থাকুক, তবু সে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন আক্রান্ত হলে মানুষের করণীয় কী সেটি নিয়ে মানুষ অধিক চিন্তিত। সরকারের দায় বলছি এ কারণে যে, সঠিক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে মানুষ তা মানতে বাধ্য। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতা আর অদূরদর্শিতার জন্য আমরা বারবার হোঁচট খেয়েছি। এ তো গেল, নিয়ম মানা না মানার বিষয়। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু গত অন্তত দুই মাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বলা যায়, কোভিড-১৯-এ মানুষ আক্রান্ত কি না, এই বিষয়টি জানতেও নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, টেস্টের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কে আক্রান্ত আর কে না, এই বিবেচনা না করেই এক কাতারে সবাই সামিল। এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতো বাড়ছেই। তাছাড়া টেস্টেও পর রিপোর্ট পেতে অনেকদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। এতে একজন রোগীর পজিটিভ- নেগেটিভেও হ্যাঁ-না হয়ে যায়।
সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পান না বলে যে অভিযোগ তা সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজও খতিয়ে দেখেনি। সঙ্গত কারণেই এর সত্যতা মানুষের মনে পাকাপোক্ত হয়েছে।
এই সময়ে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের চাওয়া, সামনের বাজেটে চিকিৎসা খাতে অধিক বরাদ্দ রাখা। তবে কেবল বরাদ্দ রাখলেই হবে না, দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্যখাত গড়ে তুলতে হবে।
লেখক : সমাজকর্মী