সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ০৮, ২০২০
০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ০৮, ২০২০
০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ার ভূমি দখল করে গড়ে ওঠা লেবু বাগান আর বৃক্ষ পাচারের ফলে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীদের। প্রতিনিয়ত বন উজাড় করছে প্রভাবশালীরা। তাই প্রায়ই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে গিয়ে ধরা পড়ছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। কখনও কখনও এসব বন্যপ্রাণী লোকালয় থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মানুষের হাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এসব বন্যপ্রাণীরা তাদের নিজের নিরাপদ আবাসস্থল লাউয়াছড়া বনে নিরাপদে বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন খাদ্য। বন্যপ্রাণীরা বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে শুরু করে গাছের ফলমূল খেয়েই বেঁচে থাকে। কিন্তু সময় পরিক্রমায় বন্যপ্রাণীর খাদ্যের যোগান দেওয়া এসব গাছ একশ্রেণির চোরচক্র কর্তৃক পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে লাউয়াছড়া চিরহরিৎ বন এখন পূর্বের জৌলস হারাচ্ছে। আর বন্যপ্রাণীর জীবনও পড়ছে হুমকির মুখে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন এক বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। বন্যপ্রাণীদের খাবারের যোগান দেওয়া গাছের চারা সংগ্রহ করে ধারাবাহিকভাবে প্রায় ১০ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতা আজ রবিবার (৭ জুন) সকালে 'গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই' স্লোগানকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি।
প্রথমদিনেই বন্যপ্রাণীর খাদ্যের যোগান দেওয়া অন্যতম বৃক্ষ বট, জলপাই, হরিতকী, বয়রা, কৃষ্ণচূড়া মিলিয়ে প্রায় ২০০ গাছ রোপণ করা হয় লাউয়াছড়ায়। পর্যায়ক্রমে বাকি গাছগুলোও রোপণ করা হবে বলে জানান জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক হৃদয় দেবনাথ।
হৃদয় বলেন, গাছ আমাদের প্রাণ। যে অক্সিজেন নিয়ে প্রতিটি প্রাণ বেঁচে আছে তা সম্পূর্ণটাই আমরা গাছ থেকে পাই। এছাড়াও এসব গাছের ফল খেয়েই বেঁচে থাকে বন্যপ্রাণীরা। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হলো বন্যপ্রাণীদের খাদ্য সংকট দূর করা। আর একমাত্র সফলভাবে বৃক্ষরোপণ করতে পারলেই বন্যপ্রাণীদের জীবন নিরাপদ হবে। তবে তা হতে হবে বন্যপ্রাণীদের যোগান দেয় এমন গাছ।
হৃদয় বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বনায়নে মানুষকে উৎসাহিত করা, বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষকে ধারাবাহিকভাবে ধারণা দিয়ে সচেতন করে তোলা।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফজাল আহমেদ, সংগঠনের অন্যতম সদস্য পঙ্কজ নাগ, রূপক দত্ত, সুবাস দাশ তপন, মোহাম্মদ আলামিন, শাওন আহমেদ, মোহাম্মদ রিপন, সুজন মুন্ডা, কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরআর-০৯