বড়লেখায় ঘর হারানো লায়লার পাশে প্রশাসন

বড়লেখা প্রতিনিধি


জুন ০৫, ২০২০
০৩:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৫, ২০২০
০৩:৫২ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় ঘর হারানো লায়লার পাশে প্রশাসন

এমনিতেই লায়লা বেগমের অভাবের সংসার। করোনাকালে কোনোমতে টেনেটুনে চলছিল তাঁর পরিবারের চাকা। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার (৩ জুন) ঝড়ে ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুতের একটি খুঁটি পড়ে লায়লা বেগমের বসতঘর একেবারে ভেঙে যায়। ঘর হারিয়ে অসহায় লায়লা পরিবার নিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়।

খবর পেয়ে লায়লা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান লায়লা বেগমের বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তিনি লায়লা বেগমের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ ও ১ কেজি তেল এবং অর্থ সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে লায়লা বেগমকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেলিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান জানান, ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে লায়লা বেগমের ঘর ভেঙে গেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় লায়লার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। লায়লা বেগম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাঁকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার দুপুরে হওয়া ঝড়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের করমপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সিঙেল ফেজের একটি লাইনের ওপর গাছ পড়ে যায়। লাইনের ওপর গাছ পড়ায় অদূরে লয়লা বেগমের বসতঘর ঘেঁষা ১০ কেভি ট্রান্সফরমারসহ খুঁটি ভেঙে তাঁর ঘরের উপরে পড়ে। এতে বসতঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা বাসিন্দারা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এলে অল্পের জন্য তারা প্রাণে রক্ষা পান। তবে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে পরিবারের দুই সদস্য আহত হন।  খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের এলাকা ঝুঁকিমুক্ত করেন।

 

এজে/আরআর-০১