সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৬, ২০২০
০৯:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০২০
১১:১৩ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে সারা বিশ্বেই লকডাউনে গৃহবন্দী থেকে বিরক্ত মানুষ। কিন্তু এই লকডাউন থেকে বেরোনোর রাস্তাটা কতদূর? ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে জানান বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ইয়ান লিপকিন।
লকডাউন প্রসঙ্গে ভাইরোলজিস্ট ইয়ান লিপকিন বলেন, মানুষ বুঝতে পারছেন না কবে এই বন্দী দশা শেষ হবে। কিন্তু এরও উপায় আছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে গেলে এই লকডাউন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তার সঙ্গে জরুরি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ব্রাজিল এক্ষেত্রে গাফিলতি করে সর্বনাশ ঘটিয়েছে জানিয়ে ইয়ান বলেন লকডাউনে বিন্দুমাত্র গাফিলতি চরম সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।
তাহলে লকডাউনের সমাধান কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একমাত্র পূর্ণ লকডাউনই, লকডাউন থেকে বেরোনোর রাস্তা। এজন্য বিজ্ঞানের রাস্তায় হাঁটতে হবে। গবেষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা যা বলছেন তা মেনে চলতে হবে।
গরিব মানুষদের পক্ষে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মানা বা লকডাউন মেনে বাড়িতে বসে থাকা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। মানতে গেলে অনাহারে মরতে হবে। তাই সরকারের উচিত তাদের দিকে নজর দেওয়া। তিনি বলছেন, লকডাউন নির্দিষ্ট দিন মেনে নয় বরং ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত চালাতে হবে। আর সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
ভ্যাকসিন বেরোনো না পর্যন্ত লকডাউন মানা ছাড়া উপায় নেই। কতদিন লকডাউন চালানো উচিত, এই প্রশ্নের উত্তর ইয়ান বলেন কোনও নির্দিষ্ট তারিখ নেই এই লকডাউন তুলে নেওয়ার। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততদিন কোনওভাবেই লকডাউন তুলে নেওয়া যাবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটারেসও জানিয়েছেন, যতদিন না করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা ওষুধ বের হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা উচিত নয়। একমাত্র কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনই পারে বিশ্বকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরাতে। করোনার উত্তর না মেলা পর্যন্ত লকডাউন চলুক, মত গুটারেসের। তিনি আশাপ্রকাশ করেন চলতি ২০২০ সালের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের করে ফেলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে ও ভারতীয় গণমাধ্যম।
এনপি-০৪