বড়লেখায় গ্রামে গ্রামে চলছে স্বেচ্ছায় লকডাউন

এ জে লাভলু, বড়লেখা


এপ্রিল ০৯, ২০২০
০৬:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২০
০৬:৩১ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় গ্রামে গ্রামে চলছে স্বেচ্ছায় লকডাউন

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একের পর এক গ্রাম লকডাউন করা হচ্ছে। গত সোমবার (৬ এপ্রিল) থেকে আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত উপজেলার ১২টি গ্রাম লকডাউন করার খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এসব গ্রামের বাসিন্দরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। 

এসব গ্রামের প্রবেশপথগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব গ্রামের লোকজনকে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার অন্য এলাকার কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। 

লকডাউন হওয়া গ্রামগুলো হলো- উপজেলার পাখিয়ালা, হিনাইনগর, উত্তর লঘাটি, ইটাউরী, দৌলতপুর, চান্দগ্রাম, তেলিগুল, ঘোলসা, রুকনপুর, পশ্চিম দক্ষিণভাগ ও চিন্তাপুর।

এসব গ্রামের বাসিন্দারা জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা পালনে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এসব নির্দেশনা মানছেন না। ফলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে এলাকার বাসিন্দারা গ্রামগুলোর প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। কোথাও আবার রাস্তার প্রবেশপথে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাখিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা তাওহিদ সারোয়ার মান্না বলেন, করোনাভাইরাস রোধে প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে অনেকেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন। এতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষের অবাধ চলাচল রোধে আমরা গ্রামের ভেতরের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। অবশ্য জরুরি প্রয়োজনে মানুষজন চলাচল করছেন।

হিনাইনগরের জুনেদ আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমরা স্বেচ্ছায় আমদের গ্রামের প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। বাইরের লোকজন যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তবে জরুরি প্রয়োজনে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে প্রবেশ করতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। প্রশাসনিকভাবে কাউকে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কেউ লকডাউনের অনুমতিও নেয়নি। জরুরি প্রয়োজনে কোনো এলাকা লকডাউন করার প্রয়োজন হলে প্রশসানই তা করবে। বড়লেখায় এখনও এ রকম লকডাউনের প্রয়োজন পড়েনি।