সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ০৩, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে এবার প্রবাসী আয় রেমিট্যান্সে। ফলে মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়েছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ডলার। যা শতাংশের হিসেবে রেমিট্যান্স ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে আয় হয়েছে।
শুধু তাই নয়, গত বছরের মার্চ মাসের তুলনায়ও ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। ২০১৯ সালের মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
এ বিষয়ে এবি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য, চীন, ইতালি, কানাডা, জার্মানি, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বেশিরভাগ দেশগুলোতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অফিস-আদালত, কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোরকম প্রাণে বেঁচে থাকতে ঘরে বন্ধী রয়েছে মানুষ। করোনায় পুরো বিশ্বই এখন অচল। তাই এ সময় রেমিট্যান্স কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে কাজ নেই। অন্যদিকে প্রাণে বেঁচে থাকার আশায় এসব দেশ ছাড়ছেন প্রবাসীরা। আবার অনেকের চাকরি চলে গেছে। ফলে আয়-রোজগার নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠাবে তো দূরের কথা তাদের খরচ মেটানোই এখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
খুব শিগগিরই এই অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। রেমিট্যান্স দেশের একটা বড় শক্তি। এটি কমে যাওয়া মানে অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে জানান এই ব্যাংকার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের জিডিপিতে প্রবাসীদের আয়ের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। করোনার কারণে এখন পুরো বিশ্ব অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। তাই রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থা যত দীর্ঘায়িত হবে ততই দেশের অর্থনীতির জন্য অমঙ্গল হবে।
আরসি-০১/