সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সিলেটে ‘মানবতার ঘর’

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ০২, ২০২০
১২:৫৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২০
০৩:২৬ পূর্বাহ্ন



সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সিলেটে ‘মানবতার ঘর’
সবার সহযোগিতা চান উদ্যোক্তারা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ত্রাণ বিতরণ অনেক কষ্টসাধ্য। ছোঁয়াচে এই রোগের আতঙ্কে অনেকে বাসায় গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতেও ভরসা পান না। এই ক্রান্তিলগ্নে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ দেখা গেল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

‘মানবতার ঘর’ নামে এক ব্যতিক্রমী দাতব্যশালা চালু হয়েছে সেখানে। যা কিনা বাংলাদেশেই প্রথম বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তরা। যার খাদ্য ও বস্ত্রের প্রয়োজন তিনি এই মানবতার ঘর থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পোশাক নিয়ে যেতে পারবেন।

দুই মানবাধিকার কর্মী মো. জুম্মান ও মো. আমিনুল ইসলাম এই মানবতার ঘর এর উদ্যোক্তা। তারা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের সামনে স্থাপন করা হয়েছে এই ঘরের। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এর উদ্বোধন হয়েছে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মসজিদের পাশে ষ্টীল দিয়ে নির্মাণ করা একটি ঘরে খাদ্য সামগ্রী রাখা থাকবে একপাশে। অন্যপাশে রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়।

তারা আরও জানিয়েছেন, এখানে রাখা থাকবে একেকটি খাদ্যের প্যাকেটে। প্যাকেটের ভেতরে থাকবে ২ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেয়াজ, আধা লিটার তেল, এক কেজি লবন ও ২ কেজি আলু। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়। যেকোনো হত দরিদ্ররা নিয়ে যেতে পারবে ষ্টীলের তৈরী এই ঘর থেকে।

সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মো. জুম্মান জানান, মানবতার ঘর প্রাথমিকভাবে তারা নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেই চালু করেছেন। পর্যায়ক্রমে নগরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই সেটা চালু করবেন।

বছর খানেক আগে দেশব্যাপি ‘মানবতার দেয়াল’ নামে এরকম একটি উদ্যোগ চালু হয়েছিল। সিলেটেও দেখা গিয়েছিল সেই ‍উদ্যোগ। পরবর্তীতে তা অব্যাহত থাকতে দেখা যায়নি। সংগঠনটির প্রত্যাশা, মানবতার ঘর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মো. জুম্মান বলেন, যে কেউ এখানে খাবার ও কাপড় রাখতে পারবেন। আমরা হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এটা তৈরি করেছি। সমাজের বিত্তবান মানুষেরাসহ সবাই হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এই উদ্যোগে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে প্রত্যাশা করি।  

 

আরসি-০৩/এএফ