ফের জাফর-প্রণবের রিমাণ্ড নামঞ্জুর, কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ০৮, ২০২৫
০৪:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৮, ২০২৫
০৪:২৯ অপরাহ্ন



ফের জাফর-প্রণবের রিমাণ্ড নামঞ্জুর, কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি


ভাঙচুর ও হামলার আরেকটি মামলায় বাসদ নেতা আবু জাফর ও প্রণব জ্যোতি পালের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমাণ্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারা ফটকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। একই সময়ে আসামী পক্ষের করা জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন আদালত। 

আবু জাফর সিলেট জেলা বাসদের আহবায়ক এবং প্রণব জ্যোতি পাল দলটির সদস্যসচিব।

আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুনুর রশীদের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।

বিষয়টি সিলেট মিররকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বারের আইনজীবী নিতু কান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘আজও (বুধবার) তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমাণ্ড চায় পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে রিমাণ্ড আবেদন নামঞ্জুর করে একদিন জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।’


পূর্বের সংবাদ-

জাফর-প্রণবের রিমাণ্ড নামঞ্জুর, জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি


তিনি বলেন, ‘আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন।’

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইয়াহইয়া চৌধুরী সোহেল, আনোয়ার হোসেন সুমন, তাপস ভট্টাচার্য, হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, মনির উদ্দিন, নিতু কান্ত দাস, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি সিলেট শাখার সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল ও রণেন সরকার রনি।

এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের মনিটরিং সুপারভাইজার রুহেল মিয়ার করা একটি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আবু জাফর ও প্রণব জ্যোতি পালকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমাণ্ড চায় পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে রিমাণ্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারা ফটকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। একই সময়ে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের করা জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করে দেন আদালত। 

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন বাসদের এই দুই নেতা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার বাসদ কার্যালয় থেকে আলোচনার কথা বলে বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে যানবাহন ভাঙচুরের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এই দুই নেতার খোঁজ নিতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় গেলে সেখানে আটক করা হয় সৈকত ও রনি নামে দুই অটোরিকশা শ্রমিককে। তাদেরও ওই দুটি পৃথক মাললায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর তারা আদালত থেকে ওই দুটি মামলায় জামিন পেলেও তাদের জেল থেকে ছাড়া হয়নি। পরদিন আরো নতুন দুটি মামলায় দায়ের করে দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

বাদসের দুই নেতার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা হয়েছে বলে ৩০ সেপ্টেম্বর নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকশিনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা করেন সিলেট সিটি করপোরেশর মনিটর সুপার ভাইজার রুহেল মিয়া। বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে সিসিকের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাঁধা প্রদান, ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টার অভিযোগে তিনি মামলা করেন। অপর মামলাটির বাদী গাড়িচালক ইব্রাহিম মিয়া। মেন্দিভাগ এলাকায় তার প্রাইভেটকার ভাঙচুর, আহতের  অভিযোগে তিনি মামলা করেন। দুই মামলায়ই আসামি করা হয়েছে আবু জাফর ও প্রণব জ্যোতি পালকে। 


এএফ/০১