খেলা ডেস্ক
আগস্ট ০৮, ২০২৫
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৮, ২০২৫
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ক্রিকেট কোচ ও প্রতিনিধিদের নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়ে গেল ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা। সিলেটের ক্রিকেটের উন্নয়ন, মান বৃদ্ধি, প্রতিভা অন্নেষণ, কোচিংয়ের উন্নয়ন, পারফরমেন্স মনিটরিংসহ নানা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতামত ও পরামর্শ জানতে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রথম বিভাগের ক্রিকেটার রাহাত সামস এ বিষয়ে আদ্যোপান্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি ক্রীড়ার উন্নয়নে একটি রোডম্যাপও উপস্থাপন করেন।
এতে কৌশলগত পরিকল্পনা, তহবিল সংগ্রহ, ব্র্যান্ডিং, কোচিং উন্নয়ন, প্রতিভা অনুসন্ধান, অবকাঠামো আধুনিকীকরণ ও পারফরম্যান্স মনিটরিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, মোকাম্মেল হক সোহাগসহ সিলেটের কোচরা।
সভায় অ্যাডহক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ বলেন, ‘সঠিক ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলা গেলে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মোকাম্মেল হক সোহাগ বলেন, ‘ক্রিকেটসহ সকল ক্রীড়া বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং সিলেট বিভাগের ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিকেন্দ্রীকরণ নীতি ‘বিসিবি’কে সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়ার জন্য সংযোগ স্থাপনের উপর জোর দিতে হবে।’
‘মিট অ্যান্ড গ্রিটে’ কোচদের পক্ষ থেকে নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- ইনডোর স্টেডিয়ামের অভাব, অনুশীলন সেন্টারের অপ্রতুলতা, জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত উইকেটের ঘাটতি, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কোচ সংকট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কোচের অনুপস্থিতি এবং নারী ক্রিকেটে পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাবসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ উত্থাপন করা হয়। এছাড়াও তারা স্পনসরশিপের অভাব, প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনায় অসুবিধা এবং মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানান।
সভায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে- বিভাগীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি কোচিং কর্মশালার আয়োজন, দ্বিতীয়ত উত্থাপিত সকল সমস্যা সমন্বিতভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া ইত্যাদি।
এএফ/০১