সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ০৫, ২০২৫
১১:৪৩ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৭, ২০২৫
০৫:০১ পূর্বাহ্ন
নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইইউবি) এ যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের অয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ ইকবাল।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, এনইইউবি’র মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. রঞ্জিত কুমার দে এবং ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. হারুনুর রশীদ। বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নূর জাহান কাকলি, আইন ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদ উন-নবী রূপক। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, ইংরেজি বিভাগের হুমায়রা আঞ্জুম বৃষ্টি ও মোহাম্মদ আশরাফুল, আইন ও বিচার বিভাগের মো. আতাহার আলী, ফাহাদুজ্জামান ফাহাদ ও হিফজুর রহমান, ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের কামরান আহমেদ ও তানভির আহমদ চৌধুরী, সিএসই বিভাগের ওয়াহিদুল আউয়াল সানি ও আহসান হাবিব নায়েফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে পতিত হয়েছিল। নাগরিকের মৌলিক অধিকার বলতে কিছুই ছিলনা। গত বছরের সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, রাতে বাসায় থাকতে দেয়নি শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী। আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকতে হয়েছে আমাকে। আজ এক বাসায় তো কাল অন্য বাসায়। দু:সময়ের অন্ধকার পেরিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা আলোর সন্ধান পেয়েছি। দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসন, নিপীড়ন ও একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতি ফিরে পেয়েছে মুক্তির আলো।
সভাপরি বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ ইকবাল বক্তব্যের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অপশাসনের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল। দেশের মানুষ ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিবাদী সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। এ আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থীরাও অগ্রভাগে ছিল। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের লক্ষ্য সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি আদর্শ দেশ গড়ে তোলা। সেটা বাস্তবায়ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক বুশরা জান্নাতের উপস্থাপনায় সভার প্রারম্ভে কোরআন তেলাওয়াত করেন মো. হিফজুর রহমান। দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ শামসুল কবিরের স্বাগত বক্তব্যের পর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন শেখঘাট শেখ ছানা উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইসমাইল আহমদ।