গ্রামীণফোন জিপি অ্যাক্সিলারেটর সিলেটে সেরা হলো ‘টিম প্রীতিলতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ২৯, ২০২৪
১২:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২৪
১২:৪৯ পূর্বাহ্ন



গ্রামীণফোন জিপি অ্যাক্সিলারেটর সিলেটে সেরা হলো ‘টিম প্রীতিলতা’


দারুণ সব মুহূর্ত। একেকটি করে টিম আসছে- নিজেদের আইডিয়া সাবলীলভাবে তুলে ধরছে। একজনের আইডিয়ার চেয়ে যেন অন্য জনের আইডিয়া আরো ব্যতিক্রমী। তরুণ উদ্যোক্তাদের আকর্ষণীয় সব উপস্থাপনায় চোখ ফেরানোর সুযোগ নাই যেন। বিচারকদের বোর্ডও বিপাকে-কাকে রেখে কাকে এগিয়ে রাখা রাখবেন। শেষ পর্যন্ত তীব্র প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী হলো ‘টিম প্রীতিলতা।’

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সিলেটের পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ড সিলেটে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণফোনের জিপি অ্যাক্সিলারেটর দেশব্যাপী ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক বুটক্যাম্প। 

দেশব্যাপী বুটক্যাম্পের ১৯তম সেশন ছিল এটি। এতে অংশ নেন প্রায় ২৫০ জন উদ্যোক্তা। উদিয়মান তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই বুটক্যাম্প  আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন। সিলেটের ক্যাম্পে ২০টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে থেকে ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে। তাদের মধ্যে থেকে সেরা নির্বাচিত হয় ‘টিম প্রীতিলতা’। দেশব্যাপি এই বুটক্যাম্পে এ প্রায় ৪ হাজার ৮০০ জন অংশ নিয়েছেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী। অতিথি ও প্যানেল বিচারক ছিলেন গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া ফজল এবং এসবি সিলেটের ড. আয়ান মুমিনুল হক।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ, স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি অ্যাক্সিলারেটর (জিপিএ) সদস্য, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের জিপি অ্যাক্সিলারেটরের প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা।

দুই পর্বে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিনের প্রথম অংশে ডিজাইন থিঙ্কিংয়ের উপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ডিজাইন থিঙ্কিং কী, এর ধাপগুলি, পণ্য পরীক্ষন, বাজার গবেষণা কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, আর্থিক মডেলিং এবং বিনিয়োগের জন্য পিচ ডেক কীভাবে তৈরি করতে হয় তা আলোচনা করা হয়। বিষয়গুলোর উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় অংশে, বুটক্যাম্পের চূড়ান্ত পর্যায়  আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধারণা উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে স্থানীয় সমস্যাগুলি সমাধানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

২০১৫ সাল থেকে জিপি অ্যাক্সিলারেটর দেশের স্টার্টআপ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে এটি পাঁচ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বিজয়ী দলের জন্য এক লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।



এএফ/০২