সিলেটে সনাতন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ, ৮ দফা দাবি

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১১, ২০২৪
০৬:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১১, ২০২৪
০৬:৪৯ অপরাহ্ন



সিলেটে সনাতন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ, ৮ দফা দাবি


দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে সিলেটে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সম্মিলিত সনাতনী ছাত্র সমাজ। এতে কয়েক হাজার বিভিন্ন বয়সের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করেন। সমাবেশ থেকে আট দফা দাবি জানান তারা।

রবিবার বেলা তিনটার দিকে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন তারা। 

‘তুমি কে তুমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়ব না’, ‘সনাতনীর ওপর আক্রমণ, মানি না মানব না’, ‘আমার ঘরে হামলা কেন, জবাব চাই, জবাব দাও’ নানা স্লোগানে এসময় মুখর হয়ে উঠে নগরের চৌহাট্টা এলাকা। 

সমাবেশে ইসকন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ বলেন, ‘হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট চালানো হচ্ছে। আমরাতো এ দেশেই জন্মেছি, আমরা কোথায় যাবো। ক্ষমতায় যেই আসুক আমাদের নিরাপত্তা চাই। আমরা আমাদের বাসস্থান ও ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা চাই।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, ‘বৈষমীবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে প্রধান লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে সারাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সমাবেশে সম্মিলিত সনাতনী সমাজের সদস্য গোপীনাথ দাস, রজত চক্রবর্তী, সোমা দাস, তুষার চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, তা দেখে তাঁরা স্তম্ভিত। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। তাঁরা অনেক পালিয়েছেন, ১৯৭১-এ পালিয়েছেন, বিভিন্ন সময় সরকারের ক্ষমতা পরিবর্তনে পালিয়েছেন, অস্থিতিশীল যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এবার তাঁরা দুষ্কৃতকারীদের প্রতিরোধ করবেন।

কর্মসূচি থেকে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রত্যর্পন আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্টানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপসালয় নির্মাণ, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকয়ায়ন এবং শারদীয় দুর্গাপুজায় ৫ দিনের ছুটি দিতে হবে।





এএফ/১৫