ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ২৩, ২০২৪
০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৪, ২০২৪
০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
বন্যাকবলিত সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে আছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতালের সামনের সড়কে কোমর পানি থাকায় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ভ্যানে করে গুরুতর রোগীদের নিয়ে আসতে হচ্ছে।
সরেজমিনে হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে পানি থাকায় যানবাহন উপজেলার প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে আছে। হাসপাতাল সড়কে চার পাঁচটি ভ্যান ও দুই একটি রিকশা চলাচল করছে। হাসপাতাল থেকে সড়ক পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ ফুট দূরত্বে যেতে জন প্রতি ভাড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা হাঁকা হচ্ছে।
রিকশায় করে স্থানীয় সলিম মিয়া তার মেয়েকে নিয়ে ভ্যানে চড়ে পানি পার হয়ে এসেছেন চিকিৎসা নিতে। তিনি বলেন, ‘না এসে উপায় ছিল না। মেয়ে হাতে ব্যাথা পেয়েছে। তাই পানির মাঝেই আসতে হয়েছে। তার মধ্যে এই একটু জায়গা অনেক ভাঙা। একটু বেখেয়াল বড় দুর্ঘটনায় পড়তে হবে।’
রেখন মিয়া হাসপাতালে এসেছেন স্ত্রীকে নিয়ে। হাটতে না পারা স্ত্রীকে কোলে করে ভ্যানে তুলেন। হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কত যন্ত্রণা এর মধ্যে আবার ভাড়া যার যতো ইচ্ছে চাচ্ছে। আমরা তো জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাদের কথা মানতে হচ্ছে।’
শুধু রোগীরাই নয় অফিসগামীরাও এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪’শ রোগী আসেন সেবা নিতে। বন্যার কারণে গত সপ্তাহ থেকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা লোকদের।
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডা. রাশেদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। আলাপ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এসএসি-০১/এএফ-০২