কুলাউড়ায় দলীয় কার্যালয় নিয়ে মুখোমুখি আওয়ামী লীগের দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

কুলাউড়া প্রতিনিধি


মে ০২, ২০২৪
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ০২, ২০২৪
১২:৪৪ অপরাহ্ন



কুলাউড়ায় দলীয় কার্যালয় নিয়ে মুখোমুখি আওয়ামী লীগের দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী


প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে কুলাউড়ার নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আওয়ামীলীগের ৩ প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু ও সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সরগরম হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ। এসব বিষয়গুলো দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর মাধ্যমে তোলপাড় চলছে দলিয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু (আনারস প্রতীক) অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী কার্যালয় (যা আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ছিল) আমার নিজ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছি। কামরুল (সাধারণ সম্পাদক) হুমকি দিয়েছে আমার কার্যালয় ভেঙে ফেলবে, দখল করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজু তার ভাই কামরুলের পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় চাপ সৃষ্টি করছেন। এমনকি সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের তার ভাই কামরুলের পক্ষে কাজ করার জন্য জোর দিচ্ছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে দ্রুত আইনি প্রতিকার দাবি করেছেন।’

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম (কাপ পিরিচ প্রতীক) অভিযোগ করেন, ‘সভাপতির করা অভিযোগ সবই মিথ্যাচার। তিনি হুমকি দিচ্ছেন, কৃষিমন্ত্রী জোরপূর্বক তাকে বিজয়ী করে দেবেন। দলীয় কার্যালয় দখল করে বানিয়েছেন নির্বাচনী অফিস। বিগত ১৫ বছরে যেখানে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে তা আজ মালিকানাদীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা না চালালে তিনি দেখে নেবেন। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন তিনি করে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচনী মাঠকে অশান্ত করে তুলছেন।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিগত দিনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি কাড়ি কাড়ি টাকা, বাড়ি, গাড়ীর মালিক হয়েছেন। ফলে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। আর আমরা নির্বাচন করে দিন দিন নিঃস্ব হচ্ছি। পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে নির্বাচনী ব্যয় পরিশোধ করছি।’

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহীন আকন্দ বলেন, রফিকুল ইসলাম রেনুর একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এএফ-০১