সিলেটে এটিএম বুথ চুরি করে আইফোন কেনেন চোর!

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৬, ২০২৩
০১:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৬, ২০২৩
০৫:৫৭ অপরাহ্ন



সিলেটে এটিএম বুথ চুরি করে আইফোন কেনেন চোর!


সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে চুরি যাওয়া ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার মধ্যে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার ও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে চুরি করা টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে চোরেরা আইফোন কিনেছেন, জুয়া খেলেছেন বলে জানা গেছে। চুরির টাকায় কেনা আইফোন পুলিশ জব্দ করেছে।

আজ রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখে (পিপিএম)।

গত ২৮ অক্টোবর রাতে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকার ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুইদিন পর ৩০ অক্টোবর বুথে গিয়ে হিসেবে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গড়মিল পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের দুই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার থানায় মামলা করেন ব্যাংকটির সিলেট অঞ্চলের এটিএম বুথের ইনচার্জ সন্দীপন দাস।

মামলা করার দিনই আলবাবকে শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলবাব হোসেন লিমন (২২), মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)।

তাদের মধ্যে লিমনকে সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন সাজেদা টাওয়ারস্থ সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস এবং নুরুলকে ভৈরব থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে লিমন ও আমিনুল সিকিউরেক্স নামের প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা।

পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে লিমনের বসতঘর থেকে ১০ লাখ,  নুরুলের বর্তমান ঠিকানা সিলেটের দক্ষিণ সুরমর কদমতলী এলাকার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ১০৮ নম্বর বাসা থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার, আমিনুলের বসতঘর থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন।

্সাউদ্মিধার হওয়া ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকার মধ্যে লিমনের বসতঘর থেকে ১০ লাখ,  নুরুলের বর্তমান ঠিকানা সিলেটের দক্ষিণ সুরমর কদমতলী এলাকার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ১০৮ নং বাসা থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার, আমিনুলের বসতঘর থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

 বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন।

ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ওই বুথে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, চোখে কালো চশমা ও হাতে গ্লাভস পরা দুই ব্যক্তি সুবিদবাজার এলাকার এটিএম বুথে প্রবেশ করেন। বুথের আশপাশে নিরাপত্তাপ্রহরী উপস্থিত ছিলেন না। ওই দুই ব্যক্তি বুথের ভেতরে প্রবেশ করেন। সে সময় একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খোলেন এবং অন্যজন তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে নিরাপত্তাপ্রহরীকে বুথের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে উঁকি দেন। ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাপ্রহরীকে শাটার নামানোর জন্য ইশারা দিতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তাপ্রহরী শাটার নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বুথের লকার খোলে ভল্ট নামিয়ে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যাগে ভরেন।


এএফ/১৫