বিএনপির অবরোধ ও হরতাল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০১, ২০২৩
০৮:৩১ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২৩
০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন



বিএনপির অবরোধ ও হরতাল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে
- সিলেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তারা


আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘জনগণ আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই তারা বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতাল ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। সারা দেশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জনগণ আর অবরোধ ও হরতাল চায় না।’

আজ বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জনগণ আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই তারা বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতাল ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। সারা দেশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জনগণ আর অবরোধ ও হরতাল চায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা উন্নয়ন চায়।’

বিএনপি দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ও গুজব ছড়াচ্ছে দাবি করে তারা বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ভালো চায় না, তাই তারা অবরোধ ও হরতাল দেয়, বাসে অগ্নিসংযোগ করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, কর্তব্যরত নিরীহ পুলিশ সদস্যদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে, মহাসড়কে গাছ ফেলে চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি করে, হাসপাতাল ভাংচুর করে। এমনকি রোগীবহনকারী এম্বুলেন্সও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।’ 

তারা আরও বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আবারও প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর মির্জা ফখরুল গংরা সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করে।’ তারা বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সারাদেশব্যপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। তারা নির্বাচন বানচাল করে ষড়যন্ত্র, গুজব, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনো তা হতে দিবে না। জনগন বিএনপির সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রত্যাখান করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজনীন হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসমা কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীম আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফছর আজিজ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রকিব বাবলু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর তাঁতীলীগের সভাপতি নোমান আহমদ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, মহানগর তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত বুলবুল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ । 

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এড. আজমল আলী, বন ও পরিবেশ  বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, শাহিদুর রহমান শাহিন, গোলাপ মিয়া, ড. নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিত চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এড. মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, সালউদ্দিন বক্স সালাই, ফখরুল হাসান, আনোয়ার হোসেন আনার, সাজোয়ান আহমদ, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আনসার আহমদ কয়েছ, আব্দুস সালাম সাহেদ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, ও  সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, এড. বিজয় কুমার দেব বুলু, সফিকুল ইসলাম আলকাছ, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, সেলিম আহমদ সেমিম, গুলজার আহমদ জগলু প্রমুখ।

এছাড়াও  সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন।


এএফ/১১