ঘরের চাকরি ভার্চুয়াল সহকারী

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৪, ২০২৩
১১:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০২৩
১১:০০ পূর্বাহ্ন



ঘরের চাকরি ভার্চুয়াল সহকারী

ভার্চুয়াল সহকারী পেশা হিসেবে লোভনীয়। দেশে দিন দিন এ পেশার পরিধি বাড়ছে। ভার্চুয়াল সহকারীর কাজের ধরন ক্ষেত্র হিসেবে আলাদা আলাদা হয়। দেশে ও দেশের বাইরে এই পেশার চাকরি রয়েছে। ভার্চুয়াল সহকারী কাজের শিরোনামের ক্ষেত্রে, ভার্চুয়াল প্রশাসনিক সহকারী, প্রশাসনিক সমন্বয়কারী, ভার্চুয়াল সচিব, ব্যক্তিগত সহকারী, নির্বাহী সহকারী এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

কাজের ধরন

ক্লায়েন্টের ওপর নির্ভর করে ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ। নির্বাহী সহকারী, প্রশাসনিক সহকারী, ব্যক্তিগত সহকারী এবং অন্যান্য সম্পর্কিত পদে কাজ করেন। একজন সাধারণ ভার্চুয়াল সহকারীর প্রধান কাজ হলো ক্যালেন্ডার এবং সময়সূচির ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা। নিয়োগকর্তার প্রতিদিনকার সবকিছুর সমন্বয় করা। ফাইল এবং নথি আপডেট ও গুছিয়ে রাখা। ই-মেইল পরিচালনা এবং নিয়োগকর্তার অফিস সংক্রান্ত সমস্ত ফোনকলের উত্তর দেওয়া এবং এই সংশ্লিষ্ট নির্দেশ দেওয়া। বিলিং এবং অ্যাকাউন্টিং কার্যক্রম দেখাশুনা করা। রেকর্ড লেখা ও সংরক্ষণ করা। সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট, প্রকল্প, অংশীদারত্ব, ইত্যাদি যাচাই করা। নিয়োগকর্তা বা ক্লায়েন্টের সামাজিক মিডিয়া বা পেশাদার প্রোফাইল আপডেট রাখা। ভার্চুয়াল সহকারীর অধিকাংশ কাজ কম্পিউটারের সাহায্যে করতে হয়। তাই চমৎকার টাইপিং দক্ষতা এবং কম্পিউটারে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়।

ভার্চুয়াল সহকারী হতে চাইলে

আপনি যদি অভিজ্ঞতা ছাড়াই ভার্চুয়াল সহকারীর চাকরি খোঁজেনÑ তাহলে জেনে নিন আপনার করা অনেক কাজই ভার্চুয়াল সহকারীর কাজের মধ্যে পড়বে। ইতিপূর্বে কারও জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করেছেন, ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছেন, কারও সোশ্যাল মিডিয়া বা ই-মেইল পরিচালনা করেছেন, ব্লগ করেছেন বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কিছু প্রচার করেছেন। এই সব কাজই সাধারণ ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ। আর যদি এ ধরনের কাজ নাও করে থাকেন তবে এ সংক্রান্ত কোর্স করে নিতে পারেন। সরাসরি নিয়োগকর্তাদের জন্য কাজ করতে পারেন। কিংবা অন্য কোম্পানিকে পরিষেবা দেয় এমন ভার্চুয়াল সহকারী সংস্থার জন্য বা চুক্তিভিত্তিক কাজেও অফার করতে পারেন। আপনি যদি নিজে থেকে ব্যবসা করতে চান তবে আগে থেকে নির্ধারণ করুন যে আপনি কোন ভার্চুয়াল সহকারী পরিষেবাগুলো দিতে চান। তাহলে আপনার জীবনবৃত্তান্তে সেগুলো উল্লেখ করুন। নেটওয়ার্কিংয়ের কাজটা আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে যান।

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েব ডিজাইন, কন্টেন্ট প্রোডাকশন বা সৃজনশীল পরিষেবা অফার করেন, তাহলে আপনার কাজের উদাহরণসহ একটি অনলাইন পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখুন। ভার্চুয়াল সহকারী পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার পর আপনার প্রথম ক্লায়েন্টদের কাজ করার পরে, নতুন ক্লায়েন্টদের সংযোগ তৈরি করতে প্রথম ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজের প্রশংসাপত্র নিয়ে নিন।

ভার্চুয়াল সহকারীর কাজের ধরন ভিন্ন ভিন্ন। ফুলটাইম, পার্টটাইম, ফ্রিল্যান্স, অস্থায়ী এবং বিকল্প সময়সূচি। অনেক ভার্চুয়াল সহকারী ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে একসঙ্গে একাধিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেন। কেউ কেউ নিজেদের জন্য ফুলটাইম ব্যবসা তৈরি করতে বেশ কয়েকটি পার্টটাইম প্রজেক্টকে একত্র করতে ভার্চুয়াল সহকারীর সাহায্য নেন।

যোগ্যতা

ভার্চুয়াল সহকারীর লিখিত এবং মৌখিক যোগাযোগে দক্ষতা থাকা দরকার। যোগাযোগের ধরন হতে হবে স্বচ্ছ। তাকে খুব সহজবোধ্য হতে হবে যাতে ক্লায়েন্ট তার কাছে সহজে পৌঁছাতে ও নির্ভর করতে পারে। সময় ব্যবস্থাপনা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার গুণটি অবশ্যই থাকতে হবে। আরও একটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে ক্লায়েন্টের ভালো করতে পারেন। এছাড়াও, ফাইল শেয়ারিং, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এবং ফোন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মতো ক্লাউড-ভিত্তিক যোগাযোগ প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল সহকারী নিয়োগ করেন তারা মূলত তাদের জীবনে চাপ এবং অব্যবস্থাপনা কমানোর জন্যই এটা করেন। তাই নির্দিষ্ট কাজগুলো শেষ করে বসে থাকবেন না। যদি দেখেন আপনার ক্লায়েন্টের প্রচুর কাজÑ আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন। তবে অবশ্যই তাকে জানান আপনি এইসব কাজও তাকে করে দিতে পারবেন।

উপার্জন

ভার্চুয়াল সহকারীর কাজের ধরন, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের ওপর নির্ভর করে কতটা পারিশ্রমিক পাবেন। কাজের ওপর ভিত্তি করে ২২ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত বেতন হতে পারে। আন্তর্জাতিক কর্মঘণ্টা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টায় ভার্চুয়াল সহকারীর বেতন ১০.৭৫ থেকে ২৭.৪৬ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অফিসে যা দরকার

ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করতে পরিপাটি হোম অফিস থাকতে হবে। একটি উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি কম্পিউটার প্রয়োজন। আরও থাকতে হবে একটি প্রিন্টার, কপিয়ার বা স্ক্যানার এবং ফ্যাক্সেরও প্রয়োজন হলে সেটাও। অফিশিয়াল সেলফোন থাকার পাশাপাশি ডেডিকেটেড ল্যান্ডলাইন-এরও প্রয়োজন হতে পারে।

আরসি-০৬