জলে আবদ্ধ নগর সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ০৭, ২০২৩
০৩:১৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৭, ২০২৩
০৬:১৫ অপরাহ্ন



জলে আবদ্ধ নগর সিলেট


তিন দিন ধরে বিরামহীন বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবারে সারাদিন ভারী বর্ষণ। রাত গড়িয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত অবিশ্রান্ত ঝরেছে বৃষ্টি। আর তাতে ফের জলে আবদ্ধ হয়েছে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন নাগরিকরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের বাসায়ও হানা দিয়েছে পানি। তাতে বাসার নিচ তলা জলমগ্ন হয়েছে। 

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে নিজ এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করেন সিসিকের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। তাতে দেখা গেছে, ফরহাদ চৌধুরীর বাসার নিচ তলায় পানি থৈ থৈ করছে। আসবাবপত্র অর্ধেক ডুবে আছে পানিতে।  

কাউন্সিলর শামীম এসময় বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরের ছড়া, নালা ও খালগুলো যথাসময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হলেও আমাদেরকে ফের জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়েছে। সুরমা নদী খনন না করলে এ ভোগান্তি থেকে আর রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে নগরের কাজলশাহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, বনকলা পাড়া, দরগামহল্লা,  সেনপাড়া, আদিত্যপাড়া, কেওয়াপাড়া, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদাম বাগিচা, শাহজালাল উপশহর, কুয়ারপাড় সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর, শাহপরাণসহ সিলেট নগরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমেছে। ফলে রোগী, তাঁদের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা রিপন চৌধুরী বলেন, ‘রাতে বাসার উঠোনে পানিতে ডুবে ছিল। ফজরের সময় পানি বাসারে ভেতরে প্রবেশ করে। অবশ্য বেলা ১১টার দিকে বাসার ভেতর থেকে পানি নেমে গেছে।’

কেওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা ভোর পাঁচটার দিকে বলেন, বৃষ্টির কারণে তাঁদের এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে। তাঁর ঘরের বারান্দায় পানি চলে এসেছে। এভাবে আরও কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে তাঁর বাসার ভেতরে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা আছে। 

তালতলা এলাকার বাসিন্দা হাসিবুল ইসলাম বলেন, রাত তিনটার দিকে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর যেভাবে টানা বৃষ্টি চলছে পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা মুশকিল।

পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।


এএফ/০৮