ওসমানীনগর প্রতিনিধি
অক্টোবর ০১, ২০২৩
০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০১, ২০২৩
০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সড়ক অবরোধ করে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা। আধঘন্টা অবরোধে দুরপাল্লার অসংখ্য যান আটকা পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গত প্রায় এক বছর ধরে এ সমস্যা থাকলেও তার স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছুদিন পর পর ইট এবং বালিমাটি দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে দীর্ঘদিন কার্পেটিং না থাকায় রোদে ধুলা আর বৃষ্টিতে কাদা জমে পুরো বাজার এলাকায় নোংরা পরিবেশের তৈরি হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা থেকে বাজারে ক্রেতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশের ভাঙন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এমন অবস্থায় শনিবার দুপুরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি মাকছুদুল আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মহাসড়ক সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সংস্কারের আগ পর্যন্ত ধুলি সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পানি ছিটানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। আধঘন্টাব্যাপী অবরোধে মহাসড়কের উভয় টাশে দুরপাল্লার অসংখ্য যান আটকা পড়ে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালাবাজারের ব্যবসায়ী নোমান মিয়া বলেন, কাদা আর ধুলা যেন বাজারবাসীর নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। পুরো সড়ক যেন ধূলার রাজ্য। নি:শ্বাস নেবার উপায় নেই। শুধু ধূলা-বালুই নয়, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অধিকাংশ জায়গা খানাখন্দে ভরা। গর্তের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, গোয়ালাবাজারে কলেজ, হাইস্কুলসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মহাসড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে এলাকাবাসীকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
আধঘন্টা অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা।
ইউডি-০১/এএফ-০১