সারদা হলে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
০৫:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
০৫:০১ পূর্বাহ্ন



সারদা হলে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০


সিলেটের ঐহিত্যবাহী সারদা স্মৃতি ভবনে সংস্কৃতিকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন। এতে ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

তবে ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি জড়িত কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি পুলিশ।

 বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন ৮৬ বছরের পুরনো এই ভবনের ভেতরে সংস্কৃতিকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সিলেটের একাধিক সংস্কৃতিকর্মী। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘মামলা হয়েছে। কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ তা খুঁজে বের করছে। এ জন্য পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে।’

নাট্য পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সারদা স্মৃতি ভবনের ভেতরে নাটকের মহড়া চলছিল। এসময় হঠাৎ করে কয়েক জন যুবক সেখানে ঢুকে পড়ে। এসময় তাদের চলে যেতে বলা হলে তারা চলে গিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে লাঠিসোটাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে নাট্যকর্মীদের উপর হামলা চালায়।

অতর্কিত এ হামলায় নাট্য পরিষদ সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম মুকুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত, দর্পণ থিয়েটারের নাট্যকর্মী নাহিদ পারভেজ বাবুসহ বেশ কয়েকজন নাট্যকর্মী আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানা গেছে।

হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা। মিছিলটি সারদা স্মৃতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সারদা হলে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে রূপ নেয়।

সমাবেশে বক্তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী সারদা স্মৃতি ভবন আমাদের দাবির মুখে প্রায় ১৬ বছর পর আজকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ছিল। সিলেটের নাট্যকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীর সেই অনুষ্ঠানের জন্য মহড়া করছিলাম। অনুষ্ঠান আজ বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঠিক পৌঁনে পাচটায় যখন আমরা প্রস্তুতি শেষের দিকে নিয়ে এসেছেন তখন চিহ্নিত দুস্কৃতিকারীরা আমাদের মহড়াকক্ষে ঢুকে যায়। তারা সেখানে অবস্থান করতে চায়। আমাদের নারী নাট্যকর্মী, আমাদের সিনিয়ররা তাদের অনুরোধ করেন চলে যেতে। তারা কথা শুনেনি। তারা আমাদের সিনিয়র নাট্যকর্মী আব্দুল কাইয়ূম মুকুল, বিভাস শ্যাম যাদনসহ আমাদের নাট্যকর্মীদের আঘাত করে। তারা সংঘবদ্ধভাবে এখানে হামলা করতে চেয়েছিল। নাট্যকর্মীরা এখানে মিলিত হওয়ায় তা পারেনি।’ তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা নাটক করব। আমরা সংস্কৃতিকর্মী আঘাতের প্রতিবাদ করছি।’


এএফ/০১