সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
অপুষ্টি চক্র প্রতিরোধে পরিচালিত ‘সূচনা’ প্রকল্পের কিশোর-কিশোরী ক্লাব এবং প্রকল্পের সহযোগীদের নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সঙ্গে ‘লার্নিং শেয়ারি অ্যান্ড কলাবরেশন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট নগরের রোজভিউ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউকেএইড এর অর্থায়নে এং সেভ দ্যা চিলড্রেনের সহযোগিতায় এফআইভিডিবি এর বাস্তবায়নে সূচনা প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সূচনা প্রকল্পের দলীয় প্রধান শেখ শাহেদ রহমান। কর্মশালার উদ্বোধন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালেহা বিনতে সিরাজ।
কর্মশালায় সূচনা প্রকল্পের মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন প্রকল্পের উপপরিচালক মো. মাহবুব হাসান। কর্মশালায় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কর্মশালায় বক্তব্য দেন সিলেটের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার, মৌলভীবাজারের উপপরিচালক শাহেদা আকতার।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালেহা বিনতে সিরাজ বলেন, স্মার্ট দেশ গঠনে স্মার্ট নগারিক তৈরি করতে হবে। এর জন্য এখন থেকেই কিশোর-কিশোরীদের তৈরি করতে হবে।
কর্মশালায় সূচনা প্রকল্পের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। অন্যা নামে এক কিশোরী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘ওখানে যাওয়ার পর জীবন বাস্তবতা সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি-শিখেছি। জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে শিখেছি। যে কোনো পরিস্থিতিতে কথা বলতে যেন জড়তা কাজ না করে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। অন্যান্য সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র মেয়েদেরও এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে হবে। আমি লক্ষ্য স্থির করেছি। সে লক্ষ্যে পৌছেঁ সমাজের কোনায় কোনায় যেসব দরিদ্র মেয়ে আছে তাদের সহযোগিতা করব।’ হবিগঞ্জ থেকে আসা কিশোরী শারমিন আক্তার সহপাঠির বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি সেই মেয়ের বাবাকে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকারক দিক বুঝিয়েছি। তারপর বলেছি আপনি যদি তাকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আমি কিন্তু পুলিশের কাছে গিয়ে বলে দেবো। এভাবে শেষ পর্যন্ত তিনি মেয়ের বিয়ে দেওয়া থেকে সরে আসেন।’