দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিক গড়তে সিলেটে আস্থার কর্মশালা

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২২, ২০২৩
১০:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২৩
১০:৩৬ অপরাহ্ন



দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিক গড়তে সিলেটে আস্থার কর্মশালা


সিলেটে দক্ষ কমিনিটি প্যারামেডিক গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কর্মশালা করেছে সুইসকন্ট্যাক্ট-এর অ্যাচিভিং সাসটেইনিবিলিটি টুয়ার্ডস হেলথকেয়ার অ্যাকসেস (আস্থা) প্রকল্প। গত সোমবার (২১ আগস্ট) সিলেটের হোটেল রোজ ভিউয়ের কুশিয়ারা হলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

কর্মমালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান প্রমুখ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, কমিউনিটি প্যারামেডিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং সুইসকন্টাক্ট -এর বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আস্থা প্রজেক্টের জৈষ্ঠ্য উপদেষ্টা ডা. জাফর আহমেদ হাকিম। 

কর্মশালায় প্রজেক্টের ইন্টারভেনশন পোর্টফোলিও-এর সিনিওর ম্যানেজার রেজাউল করিম প্রজেক্টের তৃতীয় ফেজ-এর কার্যক্রমগুলো তুলে ধরেন। কোর্সটির কার্যক্রম ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি নীতিমালা সম্পর্কেও অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন তিনি।

আলোচনা পর্বে সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বন্যাকালীন সময়ে কমিউনিটি প্যারামেডিক (সিপি) কর্মীদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ‘সিপিদের সার্টিফিকেশন এবং লাইসেন্সের স্বচ্ছতা এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে তাদের স্বীকৃতি ইতিবাচক উদ্যোগ।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন কর্মশালায় কমিউনিটি প্যারামেডিক গড়ে তোলার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নতুন যাত্রা শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে একটি শক্তিশালী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদান এবং কোর্স কারিকুলামের উপরও জোর দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান এসময় গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা খাতে জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সিপিদের তাদের এলাকাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সিপিরা স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং প্রান্তিক এলাকায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।’ অনুমোদন ও প্রশিক্ষণবিহীন গ্রামীণ ডাক্তারের জায়গায় সিপিদের অংশগ্রহণ ও প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে জোর দেন তিনি। 

আস্থা প্রজেক্টটি মূলত কমিউনিটি প্যারামেডিক (সিপি) সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। সিপি কোর্স হলো, মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বারা ডিজাইনকৃত একটি ২ বছর মেয়াদি একটি ফুলটাইম কোর্স। বাংলাদেশ নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) কোর্সটির সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন।  বর্তমানে দেশের মোট ৪৩টি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সিপি কোর্সটি প্রদান করে। দুই বছর ব্যাপী এই কোর্সটি করতে নূন্যতম এসএসসি পাশ হতে হবে। কোর্সটির অংশ হিসেবে যেকোনো স্বীকৃত হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের  ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন করতে হবে। কমিউনিটি প্যারামেডিকেরা মূলত প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও তাদেরকে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিক জন্মদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


এএফ/০৮