সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ১৮, ২০২৩
০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০২৩
০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিশ্বে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে সেভাবে সেই তুলনায় যোগ্য, দক্ষ থেরাপিস্ট, এক্সপার্ট, স্পেশালিস্ট বাড়ছে না। তাছাড়া আক্রান্ত শিশুদের সবার পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি এ সেবা নেওয়ার সুযোগ বা সামর্থ্য নেই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের প্রশিক্ষিত হতে হবে। এ জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে তাদের। কারণ এসব শিশুদের সেবায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো তেমন একটা গড়ে ওঠেনি। তাই এদিকে ভিভাবকদেরকেই বিশেষ নজর দিতে হবে।
বুধবার রাতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের এক সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সঞ্জিবনী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস। এ সময় তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনাও বিশেষ। বিশেষভাবে সেবার মাধ্যমেই এসব সমস্যায় আক্রান্তদের উন্নতি করা সম্ভব।
ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমজার সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ, ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সভাপতি সাংবাদিক আশরাফুল কবির ও অটিস্টিক অ্যান্ড ডিজঅ্যাবলিটি ওয়েলফেয়ার সেন্টারের পরিচালক ও অধ্যক্ষ আখিনুর আক্তার সিমু।
বক্তারা বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা অটিস্টিক, অটিজম আক্রান্ত, স্পেশাল চাইল্ড, গিফ্টেড চাইল্ড বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত। যে নামেই পরিচিত হোক না কেন তারা আমাদেরই সন্তান। এই সমাজেরই অংশ। তাদের সেবা নিশ্চিত ও উপযোগী সমাজ গঠনে সব মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক উদ্যোগ এ জন্য জরুরি। দাঁড়াতে হবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের পাশে।
ড. আশুতোষ সিংহের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর অভিভাবক সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার গীতা রানী শর্ম্মা। বক্তব্য রাখেন- সিকৃবির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাসনাত, গ্রিন ডিজেবল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. বায়জিদ খান, সিলেট প্রতিবন্ধী নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ চৌধুরী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোসাদ্দেক হোসেন খান ও শীলন বেগম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকরা বলেন, ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে...’ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই আমরা অভিভাবকরা একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের যথাযথ সেবা গ্রহণ করতে পারি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- জয়দ্বীপ রায়, সিকৃবির সহযোগী অধ্যাপক ড. হীরা লাল গোপ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. ফখর উদ্দিন, উপ-পরিচালক ড. মো. ইকবাল হোসেন, সেকশন অফিসার মো. হোসেন বাবর, মো. মোছাদ্দেক হোসেন খান, রায়হান খান, তাহমিন আক্তার মৌমি, খাদিজাতুল কোবরা, আফসানা আক্তার, ইসরাত জাহান শোভা, সাদিয়া মেহজাবিন ইভা, জুঁই রানী দাস, রাদিয়া জান্নাত তালুকদার, রেশমা আক্তার রিয়া, মিতালী সিনহা, নাদিয়া বেগম, সিলন বেগম, নুরজাহান বেগম, কামরান হোসেন, তোফায়েল আহমদ, আশা সিন্হা, মোহাম্মদ হোসেন বাবর, মায়া সিন্হা, স্বপ্না রানী দত্ত, হেলেনা আক্তার ও সঞ্জয় সিংহ প্রমুখ।
এএন/০১