সিলেটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার ওপর বর্তমান নেতাদের হামলার অভিযোগ, ভাঙচুর

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১১, ২০২৩
১১:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১১, ২০২৩
১১:৩২ অপরাহ্ন



সিলেটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার ওপর বর্তমান নেতাদের হামলার অভিযোগ, ভাঙচুর

প্রবাল চৌধুরী


সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রবাল চৌধুরীর ওপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে দা‌রিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রবাল চৌধুর‌ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং মহানগর দায়রা জজ আদালতের এপিপি হিসেবে কর্মরত।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাত আটটার দিকে নগরের দারিয়াপাড়া এলাকায় ২০০ থেকে ৩০০ জন্য গিয়ে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালান। পরে দারিয়াপাড়া এলাকার নার্সারির সামনে প্রবাল চৌধুরীকে পেয়ে প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রবাল চৌধুরী বলেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁদের তিনজনের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। নাঈম ও রাহেলের হাতে দা ছিল। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাত সোয়া আটটার দিকে দা‌রিয়াপাড়ার নার্সারির সামনে দুজন ছোট ভাইকে নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় রাহেল, নাজমুল ও নাইম গিয়ে আমাকে গালিগালাজ করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে কয়েক শ লোক ছিল। একপর্যায়ে কথা-কাটাকা‌টি হলে তাঁরা আমাকে চলে যেতে বলেন। তখন আমি তাঁদের চলে যেতে বলি। একপর্যায়ে হেলমেট পরিহিত এক যুবক গুলি ছোড়ে। পরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’ গুলিতে তাঁর পায়ে স্প্লিন্টার লাগে বলে তিনি দাবি করেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কোনো পূর্ববিরোধ নেই উল্লেখ করে প্রবাল চৌধুরী বলেন, ৩১ জুলাই জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুরোধে তিনি পোস্টটি মুছে দেন। সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে চিনি চোরাকারবারের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন জড়িত থাকার কথা ফেসবুকে লিখেছিলেন। তাঁর দাবি, এসবের জেরে হামলা হয়েছে।

আহত প্রবাল চৌধুরী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ক‌্যামেরার ফুটেজ আছে উল্লেখ করে তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হামলার ঘটনাটি জানেন না।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, তাঁদের কাছে হামলা-ভাঙচুরের কোনো তথ্য নেই। একবার শুনছেন ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। আবার শুনেছেন ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞেস করেছেন। কিন্তু তাঁরা এমন ঘটনার কথা জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। সূত্র: প্রথম আলো


এএফ/০৮