আখালিয়ার ঘটনায় দুই মামলা, একটিতে আসামি ৩০০

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ০৯, ২০২৩
১২:২৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৯, ২০২৩
১২:২৪ পূর্বাহ্ন



আখালিয়ার ঘটনায় দুই মামলা, একটিতে আসামি ৩০০

-ফাইল ছবি


সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার ধানুহাটারপাড়ায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোরআন শরীফ পুড়ানোর ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর একটি  এবং পুলিশে কাজে বাধা প্রদান, হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। 

প্রথম মামলার বাদী হয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল এবং দ্বিতীয় মামলার বাদী হয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন কুমার দেবনাথ। প্রথম মামলায় ৩ জনকে এবং দ্বিতীয়টিতে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘প্রথম মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তিন আসামিকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ সংক্রান্ত অন্য সংবাদ পড়ুন

মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট, কি ঘটেছিল আখালিয়ায়

গত রবিবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ধানুহাটারপাড়র সিলেট আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ নুরুর রহমানের (৫০) বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন শরীফের ৪৫টি কপি কেরোসিন ঢেলে পুড়ানোর অভিযোগ উঠে। ঘটনার পর তাকে এবং একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহবুব আলমকে (৪৫) আটক করে পুলিশ। পরদিন সোমবার বিকালে সিলেটের টুকেরবাজার থেকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালীন শিক্ষক ইসহাক আহমদকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৯ ও পুলিশ। পরে সোমবার রাতে পবিত্র কোরআন পুড়ানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত নুরুর রহমান সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত ফজুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি কোতোয়ালি থানাধীন আখালিয়া তপোবন এলাকার সরু মিয়ার বাসায় বসবাস করছেন। নুরুর রহমান ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। বর্তমানে তিনি জৈন্তাপুর মাদ্রাসা সিলেটে ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক। পাশাপাশি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নুরুর সঙ্গে থাকা মাহবুব আলম ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন বাউলাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে কোতোয়ালি থানাধীন আখালিয়া ধানুহাটারপাড় এলাকায় বসবাস করছেন। মাহবুবও ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় একটি ব্যক্তিগত কাজে নুরুর সঙ্গে দেখা করতে এসে ফেঁসে যান তিনি।

এএফ/০৬