ওসমানীনগরে সংঘর্ষ, অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


আগস্ট ০৪, ২০২৩
১০:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৬, ২০২৩
০৫:৫৩ অপরাহ্ন



ওসমানীনগরে সংঘর্ষ, অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫


সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বিদ্যালয়ের জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবহৃত গুলিসহ দেশীয় তৈরি পাইপগান  ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার মধ্যরাতের এ অভিযানে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়। 

জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর বুধবার দিনগত রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। অভিযানকালে গ্রামের মতিউর রহমানের ঘরের পাশ থেকে সংঘর্ষে ব্যবহৃত গুলিসহ দেশীয় তৈরি পাইপ গান, রামদা, লোহার পাইপ ও চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া অভিযানকালে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে ঘটনার মূলহোতা মতিউর রহমান পলাতক রয়েছে। 

অস্ত্র উদ্ধার ও ৫ ব্যক্তিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন বলেন, অস্ত্রধারী মতিউরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে এবং এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন করেছে হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান শিবলু লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, মতিউর রহমান গংরা দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ের সীমানার জায়গা দখল করে রেখেছে। সম্প্রতি উক্ত গং বিদ্যালয়ের সীমানার বেড়া উঠিয়ে সেখানে ময়লা ফেলার ট্যাঙ্ক স্থাপন করে।  জায়গা দখলের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হলে আগামী ৭ আগস্ট ২ পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল। কিন্তু এর আগেই মতিউর বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দিয়ে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে চলে আসে। এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরা এর প্রতিবাদ করলে মতিউর ও তার সঙ্গীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে  গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন আহত করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে সংবাদ

সম্মেলনে মতিউর ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়।


ইউডি-০১/এএফে-০৯