সিসিকের ৭নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরই কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ২৫, ২০২৩
১০:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২৩
১০:০৫ অপরাহ্ন



সিসিকের ৭নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরই কারাগারে

আফতাব হোসেন খান ও সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ।


সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় অস্ত্র প্রদর্শন ও সহিংসতার পৃথক দুটি মামলায় কারাগারে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান এবং নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ।  

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালাত জামিন নামঞ্জুর করে সায়ীদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এর পক্ষে আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন।

এর আগে গতকাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচার আব্দুল মোমেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আফতাব হোসেন খানের আইনজীবী আব্দুর রহমান আফজল সিলেট মিরর-কে বলেন, ‘তিনি  এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ফলে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কারাবাসে গেলেন। 

প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয় গত ২ জুন। এর চারদিন পর গত ৬ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহের বাসার সামনে অস্ত্রসহ মহড়া দেন -এমন অভিযোগে গত ৯ জুন রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ। ঘটনার সিসিক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মহড়ায় অংশ নেওয়া এক যুবকের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন। এ ঘটনার অভিযোগ নির্বাচন কমিশন বিষয়টি মহানগর পুলিশের কাছে পাঠালে পরবর্তীসময়ে বিমানবন্দর থানায় আফতাবকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের হয়। পরে এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলর পদে আফতাবের প্রার্থীতা বাতিল করে। 

এদিকে আফতাব হোসেন ছাড়াও এ মামলায় এখন পর্যন্ত আরও দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সেই অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

এরপর গত ১১ জুন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।


এএফ/০৫