নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২১, ২০২৩
০৮:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২৩
০২:৩১ পূর্বাহ্ন
-ফাইল ছবি
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেটের মানুষ। তীব্র গরমের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। তবে এই লোডশেডিং থেকে সহসা মুক্তির কোনো সুখবর দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। বরং আবহাওয়ার উপরই নির্ভর করছে লোডশেডিং থেকে মুক্তির পথ। বৃষ্টি বাদল হলেই কেবল কমতে পারে লোডশেডিং।
বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
গত কিছুদিন ধরে তীব্র লোডশেডিং নগর জুড়ে। এক ঘন্টারও কম সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে পরের এক থেকে দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে রাতে বিদ্যুৎতের এই লুকোচুরিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন নগরবাসী।
নগরের রায় হোসেন এলাকাবার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ যান না বলে বরং বিদ্যুৎ আসে বলা চলে। সবচেয়ে বড় কথা এক-দেড় ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ এলেও এক ঘন্টাও স্থায়ী হয় না। তীব্র গরমে তাই টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী রাহিমা খাতুন বলেন, ‘তীব্র গরমে ঘরে বাচ্চাদের নিয়ে দিনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর এই তীব্র গরমে রান্নাঘরে যাওয়ার চিন্তা করতেই ভয় হয়। তবু খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করতে না গিয়েও উপায় থাকে না।
লোডশেডিং এর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘ ‘আবহাওয়ার কারণে অনেকক্ষেত্রে চাহিদা বাড়ায় লোডশেডিং বাড়ে। এখন যেহেতু গরম বেশি, বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের চাহিদা যেখানে সিলেট মহানগরে ১৮৫ মেগাওয়াট ছিল সেখানে আজকে সরবরাহ করা হয়ে ১০৫ মেগাওয়াট। তার মানে ৮০ মেগাওয়াটের ঘাটতি রয়েছে। আবার যদি বৃষ্টি-টৃষ্টি হয়, ঠান্ডা থাকে তাহলে চাহিদা ১০৫ থেকে ১১৫তে নেমে আসে। তখন স্বাভাবিকভাবেই লোডশেডিং কমে যায়।’
তিনি জানান, সিলেট বিভাগে বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৪০ মেগাওয়াটের মতো সেখানে সরবরাহ করা হয়েছে ৩৫০ মেগাওয়াটের মতো।
এএফ/০১