ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্র

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ১৬, ২০২৩
০৪:৩৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২৩
০৪:৩৪ অপরাহ্ন



ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্র


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বাংলাদেশি অপরাধীচক্রের সঙ্গে দুই বিদেশি মিলে গত কয়েক বছরে এই টাকা হাতিয়ে নেয়।

প্রতারণার অভিযোগে রাজধানী ঢাকার রামপুরা থানায় করা মামলা তদন্ত করে এমন তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক (ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম) রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে চক্রের সদস্যদের আসামি করে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করেন।

দীর্ঘ তদন্তের পর এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই নাইজেরিয়ানসহ ১৩ জনকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। অভিযোগপত্রে তিনি প্রতারণার এসব তথ্য তুলে ধরেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন কায়েস হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আরমান হোসেন, বিপ্লব লস্কর, এস এম রবিউল ইসলাম ওরফে মান্না, লতা আক্তার, আয়শা আক্তার, হাবিবুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, আল আমিন ও মিজান লস্কর এবং নাইজেরিয়ার দুই নাগরিক জন জোসেফ ওরফে আসুজু ইম্মা দিলচুয়ু ও ইমেকা ইউরিক। এর মধ্যে কায়েস কারাগারে আটক রয়েছেন।

পলাতক রয়েছেন শরিফুল, আরমান ও মিজান। বাকিরা উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে জামিনে রয়েছেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় আটজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুক প্রতারণার মাধ্যমে আসামি কায়েস হোসেন ভিন্ন চারটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আসামি শরিফুল ইসলাম ভিন্ন আটটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আর আসামি আরমান হোসেন একটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নেন ২১ লাখ টাকা। এভাবে সংঘবদ্ধ আসামিরা পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা তাঁদের যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম দেখিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খোলেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের কোনো হদিস নেই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ঈদের আগে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছি। আদালত তা আমলে নিয়েছেন।



এএফ/০৪