একা পড়েই আইএলটিএস-এ ৮.৫ পেলেন ইমরান

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৭, ২০২৩
০৩:০৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৭, ২০২৩
০৩:০৯ পূর্বাহ্ন



একা পড়েই আইএলটিএস-এ ৮.৫ পেলেন ইমরান


ইচ্ছাশক্তি আর প্রতিভা থাকলে সফলতা আসবেই। এটাই আরেকবার প্রমান করে দেখালেন সিলেটের আখালিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ইমরান। কোন কোচিং ছাড়া, কোন টিচারের সাপোর্ট ছাড়া সম্পূর্ন একাই পড়াশোনা করে আইএলটিএস-এ ৮.৫ স্কোর করেছেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট ইমরান। শুধু তাই নয়, দুটি মডিউলে ৯ এর মধ্যে ৯ স্কোর অর্জন করেছেন তিনি।

কীভাবে একা একা এই অসাধ্য সাধন করলেন-এই প্রশ্নে বিনয়ী উত্তর দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ইমরান বললেন ‘আমি একাগ্র চিত্তে পরিশ্রম করেছি, বাকী সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ইংরেজী ভীতি আমার ছিল না, তাই শুরু থেকেই আত্ববিশ্বাসী ছিলাম। আমি মূলত টেকনলজি ও ফাইনান্স নিয়ে বেশি আগ্রহী ছিলাম। সেজন্য আমি এই বিষয়ে নিয়মিত ইংরেজী পডকাস্ট শোনতাম। এইসব পডকাস্ট নিয়মিতভাবে শোনার কারণে আমার বেসিক ইংরেজী অনেকটা আয়ত্বে চলে এসেছিল। এরপর আমি আইএলটিএস এক্সাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং সেজন্য দুইমাস একাগ্র চিত্তে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। 

একা একা প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কোন কোন মডিউল বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে জানতে চাইলে ইমরান জানালেন, ‘তিনি স্পিকিং ও রাইটিং নিয়ে কিছুটায় সমস্যায় ছিলেন। কারণ এই দুটি মডিউলে নিজের পারফরম্যান্স নিজে নিজে মূল্যায়ন করাটা একটা সমস্যা ছিল। এক্ষেত্রে রাইটিং সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ তিনি ওভারকাম করেছেন মূলত চ্যাটজিপিটিকে কাজে লাগিয়ে। রাইটিংয়ের টপিক লিখে তিনি চ্যাট জিপিটিকে সেন্ড করতেন এবং সেই লেখাটির মূল্যায়ন করে ব্যান্ড স্কোরও দিতেও চ্যাটজিপিটিকে বলতেন। এটা অনেক কাজে দিয়েছে। রাইটিং টাস্ক ওয়ানের ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল অ্যাডামস ইংলিশ চ্যানেল ফলো করেও উপকৃত হয়েছেন তিনি।   

আর স্পিকিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি আইএলটিএস লিজ নামের একটি ইউটিউব পেইজের সাহায্য নিয়েছেন, যেখানে স্পিকিংয়ের অসংখ্য সেম্পল কোয়েশ্চেন রয়েছে। তার ভাইবোনদেরকে এইসব কোয়েশ্চেন করার জন্য তিনি বলতেন। এভাবে ৩০/৪০ মিনিট প্রতিদিন কোয়েশ্চেন এন্ড আনসার সেশন করার কারণে আইএলটিএস-এর স্পিকিং ফরম্যাট একসময় ভালোভাবে আয়ত্বে চলে আসে তার-জানালেন সিরাজুল ইসলাম ইমরান। 

সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা ইমরান এখন শুধুমাত্র নিজের সাফল্য লাভ করেই থামতে চান না। তিনি চান যারা তার মতো একা একা প্রস্তুতি নেবেন, তাদেরকে সহযোগিতা করবেন। এজন্য তিনি ফেসবুকে একটি ফ্রি গ্রæপ করেছেন। গ্রæপের নাম হচ্ছে মাস্টারিং আইএলটিএস উইথ ইমরান (Mastering IELTS with Imran)। ইমরান জানালেন, এখন সবার জন্য জ্ঞানের ভান্ডার উন্মুক্ত। কেউ চাইলেই একা একাই প্রস্তুতি নিতে পারেন। কারণ অনলাইনে অনেক অনেক ফ্রি মেটেরিয়েল আছে, যা কাজে লাগিয়ে যে কেউ উপকৃত হতে পারেন।

ইমরানের গর্বিত পিতা-মাতা হলেন আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাদল ও ফারজানা ইসলাম। লিডিং ইউনিভার্সিটির পর আগামী বছর কানাডায় গিয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার্স করতে চান সিরাজুল ইসলাম ইমরান। এজন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এএন/০১