সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ০৫, ২০২৩
০৬:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০৬, ২০২৩
০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
দুই সপ্তাহ ধরে দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল কাঁচা মরিচ। রান্নার এই অনুষঙ্গটির দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। পণ্যটির এমন ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মরিচ আমদানি বাড়িয়ে দেয় সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও। এমন অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল কাঁচা মরিচের বাজারে৷ তবে সে স্বস্তি স্থায়ী হয়নি৷ দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সোমবার যে মরিচ দুইশ টাকায় বিক্রি হয়েছিল দুই দিনের ব্যবধানে কেজি দাম বেড়ে ৫০০ টাকায় উঠেছে। কোথাও ৬০০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে এই নিত্যপণ্যটির।
বুধবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ খুচরা কেজি প্রতি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ গত পরশুও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে দেশের মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানি করে পণ্যটির লাগাম টানা যাচ্ছে না।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কাঁচা মরিচ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কমলাপুর এলাকায় আজ সকাল থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। গতকাল ওই এলাকায় পণ্যটি বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা কেজি দরে। ধানমন্ডি এলাকাতেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে রান্নার এই অনুসঙ্গটি।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। যদিও মূল বাজারের বাইরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকালও বাজারটিতে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০০ টাকা। এক রাতের ব্যবধানে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ৫০০ টাকা কেজি দরে মহল্লায় ঘুরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে মোহাম্মদ কামালকে।
হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আড়তে দাম বাড়ছে, আমরাও বাড়াইছি। আমগো কি করার আছে? আড়তে কমলে আমগো কাছেও কমবে।'
কোরবানির ঈদের দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীতে কাঁচা মরিচ কেজি বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। ঈদের আগে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এরপর থেকে হু হু করে দাম বাড়তে থাকে রান্নার এই অনুসঙ্গটির। এমনকি দেশের কোথাও কোথাও ১২০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রিরও খবর পাওয়া গেছে। কাঁচা মরিচের এত বেশি দাম আগে কেউ কখনও দেখেনি।
দেশের কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পান সেজন্য গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। কিন্তু দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ১০ মাস পর সম্প্রতি আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪৮ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে প্রায় ৪১০ মেট্রিক টন।
আমদানির মরিচ দেশে আসতে শুরু করলে দাম কমতে শুরু করে। এছাড়া মরিচের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও। এতে কাঁচা মরিচের বাজার অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু দুই দিন যেতে না যেতেই আবারও অস্থির হয়ে ওঠে কাঁচা মরিচের বাজার।
এসই/০৪