নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ০১, ২০২৩
১০:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০২, ২০২৩
০৭:০১ অপরাহ্ন
সিলেটে তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। তবে জেলার কোনো নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়নি। তবে ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির ফলে সিলেটের নদ - নদীর পানি বৃদ্ধির আশকা দেখা দিয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয়টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার বেলা তিনটায় ১১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। কিন্তু আজ শনিবার তা বেড়ে এই পয়েন্টে ১১ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৪৯ সেন্টিমিটার। তবে আজ বেলা তিনটায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। সে পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পানি ১০ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ বেলা তিনটার দিকে নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর কুশিয়ারা পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর সে পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৮ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে। আজ বেলা তিনটায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ৮ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটের লুভা নদীতে পানি শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ১১ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে আজ শনিবার বেলা তিনটায় ১২ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৬৫ সেন্টিমিটার। আজ বেলা তিনটায় সেখানে বেড়ে ১০ দশমিক ১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধলাই নদের পানি গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ৯ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ বেলা ১২টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
![]()
সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ সিলেট মিররকে বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে কোনো নদ-নদীর পানি শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যার ফলে যাদুকাটা , সারি, গোয়াইন নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করার আশংকা রয়েছে।
তিনি আরো জানান মেঘালয়ের ঢলের পানি সিলেট ছাড়া অন্য কোথাও দিয়ে নামার রাস্তা নেই। ফলে ওখানে বৃষ্টিপাত না কমলে সিলেটে নদীর পানি বৃদ্ধির আশংকা থেকেই যায়।
এদিকে সিলেট আবহাও্য়া অধিদপ্তর জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০.১মি.মি. আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মোট ৬২মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এসই / ০২