সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২১, ২০২৩
১১:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২১, ২০২৩
১১:৫৩ অপরাহ্ন
বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শেষ হয়েছে সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন। এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন বলেছেন, যেটা নির্বাচনে প্রত্যাশা থাকে, ভোটার অবাধে এসে ভোট দিতে পারেন কি-না, সেই প্রশ্নে আমরা বলব, তারা এসেছেন। অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই দুই সিটি ভোট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। শতভাগ ভোট কখনোই নিশ্চিত হয়নি। পৃথিবীর কোথাও শতভাগ ভোট পড়ে না। ৫০ শতাংশ ভোট গুড এনাফ। ৬০-৭০ শতাংশ হলে এক্সিলেন্ট।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই দুই সিটির ভোট সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্য কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্যামেরার মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর। নির্বাচন ভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। দুই ঘন্টা পর পর ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণ্যমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার।
ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। আর ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটির ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা নির্বাচন মনিটরিং করেছি দিনভর। সকাল ৮টা থেকে শেষ পর্যন্ত। আমি বলব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশ সম্পন্ন হয়েছে। আধা ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হয়েছে। আমরা যে কারণে সন্তুষ্ট বোধ করছি, কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমরা পাইনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নজর রাখছিলাম। সেখানে প্রতিবেদকরা অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো সংবাদ দেননি। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আনুমানিক ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ উপস্থিতি হয়েছে। সিলেটে কম বেশি ৪৬ শতাংশ উপস্থিতি জানতে পেরেছি। কিছুটা হেরফের হতে পারে। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনও ভালো হয়েছে। ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে।
রাজশাহী সিটিতে এক নারী বারবার গোপনকক্ষে প্রবেশ করায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা আমরা তদন্ত করব। সিসি ক্যামেরায় আমরা দেখেছি একজন নারী একাধিকবার ভেতরে যাচ্ছেন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আধা ঘণ্টার মধ্যে জানতে পেয়েছি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিনদিনের সাজা দিয়েছেন। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে। তবে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেখলো না কেন, আমরা সেটা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলব না। জিনিসটা ভালোর দিকে যাচ্ছে, যারা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী হবে, ভোটাররা তাদের সবার মধ্যে একটা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা সৃষ্টি হতে পারে। ভোট দেওয়া ও ভোটগ্রহণকে উৎসাহিত করবে। সার্বিক মূল্যায়নটা হচ্ছে পাঁচটি নির্বাচন ভালো হয়েছে। এটি জাতীয় নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। ভোটারদের উৎসাহিত করবে। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহবোধ করবে। তারপরও ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখব, বলেন সিইসি।
আরসি-০৩