কোম্পানীগঞ্জে ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: বাড়ছে বন্যার শঙ্কা

কবির আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ২১, ২০২৩
০২:৩৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২১, ২০২৩
০২:৩৩ পূর্বাহ্ন



কোম্পানীগঞ্জে ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: বাড়ছে বন্যার শঙ্কা


সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানি ও টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে শুরু করেছে  উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তাঘাটগুলো ডুবতে শুরু করেছে এবং কিছু কিছু এলাকায় সোমবার বিকেল রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে পানি। সেই সাথে জনমনে বাড়ছে বন্যার আতঙ্ক। 

সোমবার বিকেলে থেকে উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নের শিমুলতলা, তেলিখাল, লামাডিস্কিবাড়ি, তেলিখাল ও ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম (শিমুলতলা আশ্রয়ন প্রকল্প), বুড়দেও গ্রাম সহ কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামের মানুষজন নৌকা নিয়ে ও হাঁটু পানি মারিয়ে চলাচল করছে।

তেলিখাল গ্রামের ব্যবসায়ী কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সভাপতি মো: শরীফ আহমেদ সিলেট মিরর-কে জানান, রাতে আমাদের গ্রামের রাস্তায় পানি ছিল না। সোমবার সকালে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার সময় দেখলাম আমাদের গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে যার ফলে বাড়ি থেকে নৌকা দিয়ে বাহির হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। 

কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম শিমুলতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুর রউফ সিলেট মিরর কে বলেন, সোমবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে থানাবাজার থেকে কাঁঠালবাড়ি হয়ে আমাদের গুচ্ছগ্রামে আসা আমাদের গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের গ্রামের চারপাশ পানিতে তলিয়ে গেছে যে কোন সময় বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে পারে।

২০২২ সালের জুন মাসের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনো অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত ৫ দিন থেকে একাধারে বৃষ্টিতে সেই শঙ্কাই ভর করতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের মনে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না হওয়ায় এখনো কোন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম ইসলামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ রণিখাই, তেলিখাল এবং ইছাকলস ইউনিয়নের খবর নিয়ে জানা যায়, নিচু এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তবে এখনো কোন গ্রামে পানি উঠেনি। নিচু এলাকার লোকজন নৌকা দিয়ে চলাফেরা করছেন। এ ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে নিচু এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ফ্লাড সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখনো কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি। তবে নিচু এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি তরফ থেকে এখন পর্যন্ত আগাম ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।


এএফ/১০