নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১১, ২০২৩
১০:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১২, ২০২৩
০৯:৪৪ অপরাহ্ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় গত ৭ জুন ভোট ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত হন ১৫ জন শ্রমিক। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলার সদর থানা এলাকা থেকে মো. শফিকুল ইসলাম (২৭) নামের ওই ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার নয়াপাড়া মোকসেদপুর এলাকার মো. মিস্টার মিয়ার ছেলে।
রবিবার (১১ জুন) দুপুর ১টায় র্যাব-৯ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান উইং কামান্ডার মো. মোমিনুল হক (জিডিপি)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৭ জুন ভোরে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা বড়বাজার থেকে পিকআপে করে নারীসহ প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাই কাজে যোগ দিতে জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছলে মুনশিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আলুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকেল পর্যন্ত মারা যান আরও তিনজন এবং পরদিন সকালে হাসপাতালে আরেকজন শ্রমিক মারা যান।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০), মেহের মিয়া (২৫) ও বাদশা মিয়া (২২), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।
ঘটনার পরদিন ট্রাক ও পিকআপচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়ার ইজাজুল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ইজাজুলের বাবা সায়েদ নুর এ দুর্ঘটনায় নিহত হন।
এদিকে, ঘটনার পর আহত অবস্থায় ট্রাকচালক মো. শফিকুল ইসলাম পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে খুঁজে না পেলেও শুক্রবার র্যাব-৯ এর একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকচালককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর শফিকুলকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এসই/০৭