নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৩, ২০২৩
০৮:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২৩
০৬:৩০ অপরাহ্ন
২৪ জন নারী। কারো পরা শাখা সিঁদুর, কারো বা মাদুলি বেশভূষায় সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী পূন্যার্থী। আদতে সবাই মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে পূণ্যার্থীর ছদ্মবেশে মন্দিরে হানা দেয়া আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ২৪জন নারীসহ ২৭ জন সক্রিয় সদস্যকে আলামতসহ আটক করেছে পুলিশ। তাদের ২৪ জনের বাড়িই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা।
আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। এর আগে গতকাল রবিবার (২ এপ্রিল) তাদের আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোলাপগঞ্জ থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কীর্তনে আয়োজিত মেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় ২৭ জন সদস্যকে আটক করে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে স্বর্ণালঙ্কার সদৃশ জুয়েলারি, নগদ টাকা এবং হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা উদ্ধার করা হয়।
![]()
উদ্ধার হওয়া আলামতের মধ্যে আছে- স্বর্ণ সদৃশ চেন ৯টি, স্বর্ণ সদৃশ হাতের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণ সদৃশ হতের চুড়ি ৪ জোড়া, স্বর্ণ সদৃশ কানের দুল ১৪ জোড়া, রূপা সদৃশ চেন ৮টি, রূপা সদৃশ নুপুর ৮টি, হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা ৬টি, পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস ১টি এবং মোবাইল ৭টি, (৫টি বাটন ফোন ও ২টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন)।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের মধ্যে ২৪ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা এবং একটি আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পরের যোগসাজশে গোলাপগঞ্জ থানাধান ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামের শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূণ্যমেলায় চুরির উদ্দেশে আসেন এবং সুকৌশলে নিজেরা ভিড় তৈরি করে পূণ্যার্থীদের স্বর্ণের চেন, কানের দুল, হাতের বালা, রুপার চেন, নুপুর ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন। মেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনা আঁচ করতে পেরে চুরির অপরাধের সাথে জড়িত ২৪ জন নারী ও ৩ জন পুরুষকে আলামতসহ আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারজিন বেগম (৩০), নাজমা বেগম (৩২), রিমা আক্তার (২৮), মহিমা আক্তার (৩৫), ৫) পপি বেগম (৩০), ৬) আয়েশা বেগম (৩৫), সুমি বেগম (৩০), বিলকিস বেগম (২৮), সুফিয়া বেগম (২২), শাহিদা বেগম (২৮), লুৎফা বেগম (২৫), নাজমা বেগম (৩০), রোকসানা বেগম (২৫), সালমা বেগম (৩৫), তাছলিমা বেগম (৩৫), রোজিনা বেগম (৩০), লাভলী আক্তার (৩৫), আছমা বেগম (৩৮), পারভিন বেগম (৩০), তাছলিমা আক্তার (৩৫), অনু আক্তার (৩০), আমেনা বেগম (৩০), ফুলচান বিবি (২৮), আছমা বেগম (২৫), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুহেল মিয়া, শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছাইদুল ইসলাম।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসমানীনগর সার্কেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব, গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান।
এসই/০১