বাঁচতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
০২:৪৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
০২:৪৭ পূর্বাহ্ন



বাঁচতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়ন এবং আমাদের বাঁচার জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন খুব প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে চলতে অর্থনীতির কোন বিকল্প নেই। তাই আমাদের অর্থনীতির দিকে আরো মনোযোগ দিতে হবে।’

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ- অর্জন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন এবং আমাদের বাঁচার জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন খুবই প্রয়োজন। কবিতা পড়ে, গান লিখে, ছবি এঁকে আমাদের পেট ভরবে না, সন্দেহাতীতভাবে আমরা তা উপভোগ করবো। কিন্তু আমাদের কাজ করা, আউটপুট এবং প্রোডাকশনের কোন বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আমাদের যতগুলো চ্যালেঞ্জ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমি মনে করি সেটা হলো বাংলাদেশের ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন।’

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি গত ১০-১৫ বছরে আমরা অনেকটাই বিভ্রান্তি কাটিয়ে ট্র্যাকে এসেছি। আমরা দারিদ্রকে আক্রমণ করে কমিয়ে এনেছি। এই মূহুর্তে আমাদের প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধভাবে গুছিয়ে চলা। তাহলেই আমরা এ উন্নয়নের দিকে যেতে পারবো বলে আমি মনে করি।

দুইদিনব্যাপী এ সম্মেলনের সমাপনী পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা ও পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন গবেষণা সম্মেলনের আহবায়ক অধ্যাপক দিলারা রহমা।  সম্মেলনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন সম্মেলনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন।

এরআগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন।

এদিকে এবারের আর্ন্তজাতিক এ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কি, ভারত, মঙ্গোলিয়া ও ডেনমার্কসহ ৮টি দেশের গবেষকরা শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। গবেষণাপত্রগুলো স্বশরীরে এবং ভার্চুয়ালি উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া সম্মেলনে দেশ-বিদেশের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ অংশ নেন।


এইচএন-০১/এএফ-১২