সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ০৫, ২০২২
১২:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৫, ২০২২
১২:৫১ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসে ডাকাতদের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী সমকালকে সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, ‘তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কাজ করেন নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায়। ঘটনার দিন রাতে তিনি ঈগল পরিবহনের বাসে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বাসে তার সিট ছিল পেছনের দিকে। রাতে যাত্রীবেশে ডাকাত দল বাসে উঠে এবং একজন তার পাশেই বসে। ডাকাতরা সবাইকে জিম্মি করে সবকিছু লুট করার পর ৫/৬ জন তাকে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তিনি বাধা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্ত তারা তার হাত সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে, মুখও বাঁধে। তারপর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।’
তিনি প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ৩০-৩৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।
এ ঘটনায় রাজা মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এএফ/০৩