প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে যৌথভাবে কাজে আগ্রহী সিসিক-ম্যানচেস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন



প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে যৌথভাবে কাজে আগ্রহী সিসিক-ম্যানচেস্টার
সিসিক-ব্রিটিশ হাই কমিশনের মতবিনিময়

সিলেট নগরে ব্যবহৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার সিটি। পাশাপাশি দুই সিটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে আগ্রহী। 

গতকাল সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিসিক ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়কালে এই আগ্রহের কথা জানায় দুই সিটি করপোরেশন। করোনার কারণে ম্যানচেস্টার সিটির কোনো প্রতিনিধি আসতে না পারায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল পাঠায় ম্যানচেস্টার সিটি। 

আয়োজিত সভায় গ্রেটার ম্যানচেস্টার-এর পক্ষে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এসময় সিসিকের বর্তমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

সোমবার বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের গণমাধ্যম শাখা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।    

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ^ব্যাপি জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টি, খরা, মাটিতে লবণের অধিক্য দেখা দিচ্ছে। জলবায়ূর বিরূপ প্রভাবে গ্রামীণ মানুষ প্রতিনিয়ত শহর-নগরমুখী হচ্ছেন। এতে নগরের বস্তি এলাকাগুলোতে জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বর্জ্য উৎপাদন। পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার ও অপসারণের ফলে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি। 

তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অতি গুরুত্বপ‚র্ণ বিবেচনায় সিসিক বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষিণ সুরমায় কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে সিসিক ক্লিনিক্যাল বর্জ্য আলাদা করে পরিশোধন করা হচ্ছে। যাতে পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখা যায়। 

সিসিকের বস্তিবাসির জীবনমানের উন্নয়নে ইউএনডিপির প্রকল্প কার্যকর ভ‚মিকা পালন করছে বলেন মন্তব্য করেন সিসিক মেয়র। 

প্রতিনিধি দলের প্রধান ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের জলবায়ূ পরিবর্তন ও আবহাওয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জন ওয়ারবারটন বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিসিকের চলমান প্রকল্পগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। এই নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি বাস্তবায়নে গ্রেটার ম্যানচেস্টার সিলেট সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ রয়েছে। 

প্রতিনিধি দলের সদস্য বৃটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশোওশায়া বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে ভাতৃত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই দুই সিটির মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি উৎসব আয়োজন করা যায়। এতে করে এই দুই সিটির মানুষ একে অন্যের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ধারণা লাভ করতে পারবে। দুই সিটির নগর ভবনের মধ্যে থাকা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কটা সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের মাঝেও ছড়িয়ে যেতে পারে এই উৎসবের মাধ্যমে। 

মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিনিধি দলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, প্রধান রাজম্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়, বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেট সেন্টারের প্রধান মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, কনসালটেন্ট মনির আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, চিফ এসেসর চন্দন দাশ, মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব সোহেল আহমদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মুহিবুল ইসলাম ইমন, বৃটিশ হাই কমিশনের এফসিডিও আনোয়ারুল হক প্রমুখ।

আরসি-০৩