নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
০৫:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
০৭:০৮ অপরাহ্ন
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সিলেটের চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানালেন তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শুক্রবার সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হলে সেখানে দলীয় নেতাকর্মী আর শোকার্ত জনতা শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এদিন সকাল ১১টায় লুৎফুর রহমানের মরদেহ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসার পর থেকেই শোকার্ত মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মুহূর্তেই ফুলে ফুলে ঢেকে যায় প্রবীন এই রাজনীতিবিদের কফিন। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ জুড়ে সৃষ্টি হয় শোকাবহ এক পরিবেশের।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এসময় লুৎফুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাবেক গণপরিষদ সদস্য লুৎফুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৮১ বছর।
আজ সকালে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে রাজনীতি অঙ্গণের বাইরেও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ লুৎফুর রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পররষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদসহ সাংসদ, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা এসময় লুৎফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা আড়াইটায় তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নগরেরর মানিক পীর টিলায় তার দাফন সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা টার দিকে লুৎফুর রহমান নগরের নয়াসড়কস্থ মাউন্ড এডোরা হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিন দিন আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে লুৎফুর রহমানকে মাউন্ড এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এই হাসপাতালেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
লুৎফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর থানার বড় হাজিপুর গ্রামে। সিলেট নগরীর আম্বরখানার বড়বাজারস্থ বাসায় তিনি বসবাস করতেন।
বিএ-০৮