কানাইঘাট প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
১১:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
১১:২৭ অপরাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটে খাল থেকে সিমন বালা দাস নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আমরি নামক খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানার পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের নিপু রাম দাসের স্ত্রী সিমন বালা দাস (৪৫) গতকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে প্রতিদিনের মতো রাস্তার মাটির কাজ শেষ করে বাড়িতে না ফিরলে তাকে খুঁজতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিমন বালা দাসের ছেলে দিপক রাম দাস স্থানীয় আমরি খালের মধুখাল নামক স্থানে তার মায়ের কাজের পোশাক (ইউনিফর্ম), জুতা ও ছাতা পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনকে জানান। পরে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সিমন বালা দাসের কোনো সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি থানায় জানান। রাতে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামের নির্দেশে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজ-খবর করেও সিমন বালা দাসের সন্ধান পায়নি পুলিশ।
পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক যেখানে সিমন বালার পোশাকসহ অন্যান্য জিনিস পাওয়া গেছে, সেখানে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে দুপুর ১২টার দিকে সিমন বালা দাসের লাশ ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে তার লাশ থানায় নিয়ে রাখা হয় মর্গে প্রেরণের জন্য।
খালে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে সিমন বালা দাসের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে- এ নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিমন বালা দাসের লাশ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরনের কাপড়-চোপড় স্বাভাবিক ছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি। তাকে যদি কেউ হত্যা করে থাকে এবং তা তদন্তে প্রমাণিত হয়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, সিমন বালা দাসের পুত্রবধূ উপজেলা এলজিইডি অফিসের মাটির কাজের একজন নারী কর্মী ছিলেন। পুত্রবধূর পরিবর্তে সিমন বালা দাস অন্যান্য নারী কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের রাস্তাঘাটে মাটির কাজ করতেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে সিমন বালার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন জানিয়েছেন, তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এমআর/আরআর-০৪