বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
আগস্ট ১২, ২০২১
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১২, ২০২১
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বিশ্বনাথে ইর্শাদ আলী (৬২) নামের এক ইটভাটা মালিক ও তার দুই ছেলে প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) উপজেলার সদরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ধোপাখলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, একই উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের মেসার্স আল-আমিন ব্রিকফিল্ডের সত্ত্বাধিকারী, সদর ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইর্শাদ আলী এবং তার দুই পুত্র কামরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম তাদের ব্রিকফিল্ডকে পুঁজি করে এলাকার অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ কোটির টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তারা পিতা-পুত্র প্রত্যেক মৌসুমে বিভিন্ন হারে স্থানীয়দের কাছে অগ্রিম কাঁচা ইট বিক্রি করেন। একইভাবে আমাদের বেশ কয়েকজনের কাছেও অগ্রিম কাঁচা ইট বিক্রি করেন। যে ইটগুলো পুড়িয়ে পরবর্তীতে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিতে চুক্তিও সম্পাদন করেন তারা। আমরা স্থানীয় অনেকেই ব্যবসার নিমিত্তে বিভিন্ন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাউচার ও চেকের মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ইটভাটা মালিক ইর্শাদ আলী ও তার দুই পুত্রের কাছে হস্তান্তর করি। নির্দিষ্ট সময়ে আমাদেরকে পোড়ানো ইট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা না করে তারা বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। অথচ ওই পিতা-পুত্র আমাদের ইট অন্যত্র বিক্রি করে ঠিকই মুনাফা লুটছে। আমরা আমাদের পোড়ানো ইট চাইতে গেলে আমাদেরকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে মামলা ও হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। যে কারণে আমরা গত ৪ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এছাড়া ইতোপূর্বে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেটের জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে অভিযোগও দিয়েছি। এতগুলো পাওনা টাকা না পেলে পথে বসার উপক্রম হবে আমাদের। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে মহরম আলী, ছাতির আলী, আরশ আলী রেজা, লালা মিয়া, আহমেদ নুর উদ্দিন, ফজর আলী, দবিরুল ইসলাম দবির, আখতার ফারুক, ফরিদ মিয়া, সুবোধ রঞ্জন পাল, মনসুর আহমদ, আবদুস শহীদসহ পাওনাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/আরআর-০৪