কানাইঘাটে শারীরিক প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ: আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

কানাইঘাট প্রতিনিধি


জুলাই ১৮, ২০২১
০৭:২৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২১
০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন



কানাইঘাটে শারীরিক প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ: আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের জন্তিপুর রাধানগর গ্রামে ১৮ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী।  জন্তিপুর গ্রামের মৃত কবিরউদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদ ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারিছ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, আসামী সুহেল আহমদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ও ফয়ছল আহমদ ধর্ষণের সময় সেখানে উপস্থিত থেকে সহায়তা করেছে বলে  আদালতে শনিবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ   করা হয়। ভিকটিম মেয়েটিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুলত শারিরীক প্রতিবন্ধী ঐ তরুণীকে জোরপূর্বক ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে গ্রেপ্তারকৃত আসামী সুহেল আহমদ। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে মামলার অন্যান্য আসামীরা।   গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলের দিকে মেয়েটি প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী জন্তিপুর গ্রামের মোরাকিব আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন তার নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে রিয়াজ উদ্দিন তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় দরজা বন্ধ করার দৃশ্যটি দেখতে পায় মৃত কবির আহমদের ছেলে সুহেল আহমদ। পরে সুহেল আহমদ তার সহযোগীদের খবর দিলে তারা রিয়াজের বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে রিয়াজের সহযোগিতায় গ্রেপ্তারকৃত সুহেল আহমদ মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর রিয়াজ মেয়েটিকে ধষর্ণের চেষ্টা করলে অন্যান্য আসামীরা তারাও ধষর্ণের চেষ্টা করে। এতে মেয়েটি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। 

মামলার বাদি মেয়েটির বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন গ্রেপ্তারকৃত সুহেল আহমদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন এবং মামলার অপর ৪ আসামী ধর্ষণ করতে না  পারলেও  এ  কাজে তারা  সহযোগিতা  করেছে। 

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, মেয়েটির বাবা গত বৃহস্পতিবার থানায় এসে এমন অভিযোগ জানানোর পর অভিযান চালিয়ে ঘটনার মুল আসামী ধর্ষণকারী সুহেল আহমদ ও সহযোগিতাকারী ফয়ছল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামী রিয়াজ উদ্দিন, ছোট সুহেল ও গিয়াছ আহমদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমআর/আরসি-০৬