নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ০৮, ২০২১
০৫:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৮, ২০২১
০৯:২৭ অপরাহ্ন
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ আগে থেকেই বাড়ছিল। এবার তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে জেলা সদর এলাকাগুলোও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া জেলা ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী সিলেট বিভাগে বাড়ছে শনাক্তের হার বাড়ছে। গত দুই দিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬ জুন সিলেট বিভাগে শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পরদিন ৭ জুন সিলেটে সে হার দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করলে জানা যায়, একদিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার বেড়েছে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগে। আর ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুরে শনাক্তের হার কমেছে।
জেলার তথ্য থেকে জানা যায়- সিলেট জেলা এবং খুলনা বিভাগের যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় শনাক্তের হার বেশি। খুলনার বাগেরহাট, নড়াইল এবং কুষ্টিয়ায় শনাক্ত বাড়তে দেখা গেছে।
তবে এই হার খুব একটা আতঙ্কের না বলে দাবি করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, গত ৭ দিনে সিলেটে এই হারটা ১১ এর বেশি না। যদি পুরো মে মাস ও জুনের গত ৭ দিনের হিসেব করা হয়, তবুও এই হারটা ৯ এর ঘরে। যদি বিভাগের জনসংখ্যা দিয়ে হার দেখা হয় তাহলে সেটার হার মাত্র ২। তাই এতে আতঙ্কের কিছু নেই।
গত দুই দিনে শনাক্তের হার সবচেয়ে কমেছে ঢাকা বিভাগে। গত ৬ জুনের হিসাবে বিভাগটিতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ,
৭ জুন শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিভাগে ৫ দশমিক ০২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
শনাক্তের হার বৃদ্ধির পেছনে কারণ কী জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘এটা স্বীকার করতেই হবে মানুষজন এখনও কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আর কেউ নিজে যদি না মানেন তাহলে বল প্রয়োগ করে মানানো খুব কঠিন। আর যারা উপসর্গহীন পজিটিভ রয়েছেন তারা পরীক্ষা করাতে আসছেন না, কিন্তু বাইরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের মাধ্যমেও এটি ছড়াচ্ছে। একইসঙ্গে ওপেন বর্ডার দিয়ে মানুষ চলাচল করছে, রাতের বেলায় যাতায়াত করছে। তাদের মাধ্যমেও এটা এখন ছড়াচ্ছে বেশি।’
আরসি-১০