রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর
জুন ০২, ২০২১
০৮:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০২, ২০২১
০৮:৩৬ অপরাহ্ন
গত দুইদিন থেকে ঝরা ব্যাপক বৃষ্টিতে কারণে প্লাবিত হতে শুরু করেছে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। উপজেলার সবক'টি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোনো সময় পাহাড়ি ঢল নেমে আসতে পারে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জৈন্তাপুরে টানা দুইদিনের অতিবৃষ্টির ফলে গতকাল মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উপজেলার ছোট-বড় সবক'টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে যে কোনো সময় পাহাড়ি ঢল নেমে আসতে পারে। উপজেলার সারী নদী, বড়গাং নদী ও রাংপানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। জৈন্তাপুর উপজেলা মেঘালয়ের পাদদেশে হওয়ায় এবং টানা বৃষ্টির ফলে যে কোনো সময় পাহাড়ি ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে জৈন্তাপুরে পাহাড় ও টিলা ধস হওয়ার সম্ভাবনাসহ পাহাড়ি ঢল বিপৎজনকভাবে নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পরিবেশবাদীরা ও উপজেলার সচেতন মহল পাহাড়ি এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে উপজেলার সবক'টি নদীর পানি বিপৎজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এনং নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাহাড়ি ঢল নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, নিজপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া ও চারিকাটা ইউনিয়এর চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল সিলেট মিররকে জানান, গত দুইদিনের টানা বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে দ্রুত বিপৎসীমার কাছে চলে আসবে। আমাদের ইউনিয়নগুলোর নিম্নাঞ্চলের ও পাহাড়-টিলার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার ব্যাপারে ওয়ার্ড সদস্যদের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি অতিমাত্রায় বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য আমি মৌখিকভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের জানিয়ে দিয়েছি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
আরকে/আরআর-০১